আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৩

তৈরি পোশাক খাত ব্যবসায় এগিয়ে, মজুরিতে পিছিয়ে

অল্প সময়ের ব্যতিক্রম ছাড়া এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই সময়ে তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজা ধস ও করোনার ধাক্কার পরও পোশাকের ব্যবসা বেড়েছে। সুনির্দিষ্ট করে বললে, গত ১০ বছরেই (২০১৩ থেকে ২০২২ সাল) তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যবসা বাড়ার পাশাপাশি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দিক থেকেও তৈরি পোশাকশিল্প এগিয়ে রয়েছে। অন্য শিল্পকারখানাকে যেখানে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত করপোরেট কর দিতে হয়, সেখানে পোশাক কারখানার জন্য এই করের হার ১০-১২ শতাংশ। এর বাইরে এই শিল্পের জন্য নগদ সহায়তা, মূসক অব্যাহতি, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধাও আছে। সূত্র: প্রথম আলো

মালিক-শ্রমিক মিলেই গার্মেন্ট রক্ষা
সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান – বাংলাদেশ প্রতিদিন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

তৈরি পোশাক শিল্প খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৫ কোটি মানুষ জড়িত। দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের সবচেয়ে বড় খাত এটি। পোশাক কারখানাগুলোয় যে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ঘটেছে এর সঙ্গে কোনো শ্রমিক বা শ্রমিক সংগঠন জড়িত নয়। হামলাকারীরা সবাই বহিরাগত। দেশের স্বার্থে মালিক-শ্রমিক মিলে এ খাত রক্ষা করতে হবে। সংঘাত নয়, শ্রমিকদের বেতনভাতাসহ সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আগামীকাল (আজ) নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার সুখবর আসবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘পোশাক খাতে সংকট : সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক গোলটবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে এ গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, নিম্নতম মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ’র নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম-সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের দৃষ্টি নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার দিকে। বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দলসমূহ, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদাররা যাতে জনগণের স্বার্থে একত্রে কাজ করে, সেই আহ্বান জানাতে আমরা যথাযথভাবে সক্রিয় আছি।’সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওই প্রশ্নে বলা হয়, ‘ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। আটক করা হয়েছে বিএনপি মহাসচিবসহ ৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে। ২৮ অক্টোবরের বিক্ষোভের পর থেকে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেই পরিবেশ তৈরির জন্য আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবেন? একটি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবেন?’ সূত্র: সমকাল

Nagad

ডলার বিড়ম্বনায় বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানি ও বকেয়া পরিশোধ
জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ সরবরাহকারী চার বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কাছে দেনার পরিমাণ ৩৬ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। সর্বশেষ বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১১ টাকা) অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশিতে। এ বকেয়ার কারণে জ্বালানি তেল আমদানিতে এলসি খুলতে গিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি)। বকেয়া জটিলতার কারণে আমদানীকৃত জ্বালানি তেল খালাসে জাহাজে ফাইন্যান্সিয়াল হোল্ড (অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় পণ্য খালাস আটকে দেয়া) আরোপের মতো বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়েছে সংস্থাটিকে। যদিও দেশে জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম লাভজনক সংস্থা বিপিসি। নিয়মিত বকেয়া পরিশোধের মতো আর্থিক সংগতিও রয়েছে। এর পরেও মূলত ডলার সংকটের কারণেই সংস্থাটিকে এসব বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: বণিক বার্তা ।

আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই
অবরোধে শীতের সবজিতে স্বস্তি

বছর জুড়েই ভোগ্যপণ্যের দামের আগুনে পুড়ছে মানুষ। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যসহ নানা কারণে খাদ্যপণ্যের দাম পৌঁছায় অসহনীয় পর্যায়ে। বছরের শেষদিকে এসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দাম আরও বাড়বে তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে চলমান অবরোধের মধ্যে বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। শীতকালীন সবজিতে বাজার সয়লাব হওয়ায় সেই শঙ্কা উড়ে গেছে। কয়েক দিন ধরেই উল্টো রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে কমেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিমসহ সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা কমেছে। অধিকাংশ শীতকালীন সবজি ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: উদ্বেগের মধ্যেই তফসিলের অপেক্ষা
টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি।

সংঘাত-সহিংসতা আর উদ্বেগের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো ইংগিত নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের হাতে ফুরিয়ে আসছে সময়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ যে তৈরি হয়নি, সে কথা খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মুখেই এসেছে কিছুদিন আগে। তবে তিনি এও বলেছেন, পরিবেশ অনুকূল না হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নির্বাচন কমিশনের নেই। তফসিল ঘোষণার আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসেছিল ইসি। বিএনপিসহ সমমনারা তাতে যোগ দেয়নি।যেসব দল যোগ দিয়েছে, তাদেরও অনেকের কথায় ভোটের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি এসেছে। কিন্তু সিইসি আগের মতই দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গত শনিবার সেই সংলাপের শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর বিবদমান সঙ্কট নিরসনে নির্বাচন কমিশনের কোনো ম্যান্ডেট নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সঙ্কটের সমাধান করে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। সময়সীমা সংবিধানে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। ইসির সামনে, পেছনে, পাশে খুব বেশি স্পেস নেই।” সূত্র: বিডি নিউজ

পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরির ঘোষণা হতে পারে আজ

মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় আজ পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণ হতে পারে। তবে টাকার অঙ্ক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শ্রমিক বোর্ডের কার্যালয়ে হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বোর্ডে রয়েছেন কারখানা মালিক-শ্রমিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।এদিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঢাকার মিরপুর, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানার উৎপাদন। আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেয় সরকার ও মালিকপক্ষ। এর আগে, পোশাকশ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য গত এপ্রিলে সরকার নিম্নতম মজুর বোর্ড গঠন করে। গত ২২ অক্টোবর বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব দেন। তার বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব দেয়। মালিকপক্ষের এই মজুরি প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা পরদিন আন্দোলনে নামেন। প্রথমে গাজীপুরে মজুরি বৃদ্ধির দাবি আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা আশুলিয়া-সাভারেও ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: যুগান্তর

দুই শীর্ষ কর্তার দ্বন্দ্বে আটকে পদ-পদায়ন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাতটি অনুবিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটি হলো নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ (এপিডি)। কিন্তু এই অনুবিভাগের প্রধানের পদটি দুই মাস আগে শূন্য হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে ঝুলে আছে একটি ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি। বিষয়টিকে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হতে পারে। তার আগেই বিসিএস ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার কথা। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি দুই সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কেউ কেউ মনে করছেন, এপিডি অনুবিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ নিয়ে জটিলতার কারণেই ঝুলে আছে ব্যাচটির পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, এপিডি নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ দুই কর্তাব্যক্তির মধ্যে মতভিন্নতা আছে। একজন চান তাঁর এলাকার এক কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দিতে, যিনি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েই কর্মরত। অন্যজন চান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাইরে অন্য দপ্তরে কর্মরত আরেকজনকে এপিডি প্রধান করতে। এ কারণে ঝুলে আছে এপিডি নিয়োগের বিষয়টি। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

‘আন্দোলন নিয়ে হার্ডলাইনে বিএনপি, একদফার লাগাতার কর্মসূচি আসছে’

বিএনপির নতুন কর্মসূচি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘আন্দোলন নিয়ে হার্ডলাইনে বিএনপি, একদফার লাগাতার কর্মসূচি আসছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে আগামী সপ্তাহে দেশব্যাপী লাগাতার কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড।নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই লাগাতার কর্মসূচি যেমন দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ অথবা অবরোধ ও হরতাল একই সঙ্গে পালনের কথা রয়েছে।সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে সব সাংগঠনিক জেলায় বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা কোন কৌশলে কীভাবে মাঠে থাকবেন, এ বিষয়ে দেওয়া হয়েছে দিকনির্দেশনা। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।


সহিংসতা চালাতে থাকলে বিএনপিই নির্মূল হবে, মনে করছে আ.লীগ

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক—এ দুই দিক থেকেই চাপে ফেলে বিএনপির চলমান আন্দোলন দমনের কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দলটিকে অনেকটাই কোণঠাসা করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।শুধু তাই নয়, এ অবস্থায় আন্দোলনের নামে বিএনপি অবরোধ এবং জ্বালাও-পোড়াওসহ সহিংস ঘটনা চালাতে থাকলে দলটির রাজনীতিও নির্মূল হয়ে যাবে বলে ক্ষমতাসীন রাজনীতিকরা মনে করছেন।সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশ থেকে সহিংসতা শুরু হয় এবং তা এখনো অব্যাহত আছে। মহাসমাবেশের পর হরতাল এবং দুই দফায় অবরোধ দেয় দলটি। এরপর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার (৮ ও ৯ নভেম্বর) তৃতীয় দফায় অবরোধ ঘোষণা করেছে তারা। বিএনপির এই অবরোধ কর্মসূচি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০০টির ওপরে মামলা হয়েছে এবং দলের পাঁচ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপি থেকেই অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপির দ্বিতীয় দফার অবরোধের শেষ দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীতে জনজীবন আগের দিনের তুলনায় অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ে দেখা যায়। এ অবরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান অব্যাহত রেখে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এদিনও রাস্তায় তৎপরতা ছিল এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীও কঠোর অবস্থান নিয়ে রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঠের তৎপরতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে দলটি আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। সূত্র: বাংলানিউজ