অস্ট্রেলিয়ায় রাতভর ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ চলে ভোর পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেপার স্প্রে ছুড়েছে পুলিশ।স্থানীয় গণমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি বার্গারের দোকানে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে মেলবোর্নের দক্ষিণ-পূর্বে ফিলিস্তিনপন্থী এবং ইসরায়েলপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। প্রথমে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলেও পরে বিষয়টি সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়। শহরটির কাউফিল্ড সাউথ এলাকায় একটি ইহুদি উপাসনালয়ের (সিনাগগ) পাশে সংঘর্ষে জড়ান তারা।


অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পরস্পরকে গালিগালাজ করছেন। একে অন্যকে প্লাস্টিকের বোতল ও পানি ছুড়ে মারছেন। একে অপরকে ঘুষি মারছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকজন লোক ইসরায়েলি পতাকা হাতে বোর্ডড-আপ বার্গার স্টোরের কাছে জড়ো হয়েছিল। সে সময় ফিলিস্তিনপন্থী একটি দলও প্রিন্সেস পার্কে সেন্ট্রাল শুলে শাবাদ সিনাগগের কাছে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছিল।
কিন্তু রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি হাথর্ন রোডে দুই দলের লোকজন বাড়তে থাকে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০০ জন হয়ে যায়। এ সময় দুই দলের লোকেরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।
মেলবোর্নের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ক্যালফিল্ডের গ্লেনহান্টলি রোডে আগুন লাগা বার্গারের দোকানটি ফিলিস্তিনপন্থী এক ব্যক্তির মালিকানাধীন।
তবে বার্গারের দোকানটিতে কিভাবে আগুন লাগল তা এখনো বের করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া প্রাথমিকভাবে এতে ধর্মীয় কিংবা বর্ণবাদী নাশকতার কোনো ইঙ্গিত পায়নি মেলবোর্ন পুলিশ।
দোকানে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।