‘প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন- বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত বিশ্ব শান্তি নষ্ট করছে। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবন ততোই বিপন্ন হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। শান্তির কথা বললেও বারবার আমরা সংঘাতে লিপ্ত হই। যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করার আহবান জানান তিনি।

আজ বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিজেই আমাকে বলেছেন, আমরা যেন আরও বেশি করে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে গৌরবের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশের সদস্যরা। আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমাদের আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যাতে বিশ্বের সব থেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে, সে হিসেবেই তাদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের দূত হিসেবে। তিনি বলতেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। তা হলো, শোষক ও শোষিত। আর আমি শোষিতের পক্ষে। তিনি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তাবহক ও শান্তির দূত।

Nagad

এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ মে) এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করার ফলে আমরা জাতিসংঘে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মর্যাদা লাভ করেছি।