সব বিভাগে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৫

সব বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য রয়েছে। সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সব বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান আসন থাকলেও, প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতে এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ গঠনের ব্যাপারে দলগুলো একমত হয়েছে। এটি বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুবিচার নিশ্চিত করবে।’

আলোচনায় রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের সংস্কারের বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, ‘১৬ বছর বা তারও আগে থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধানটি বিভিন্নভাবে অপব্যবহার হয়ে আসছে। তাই সব দল একমত হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নিতে হবে।’

Nagad

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার থাকলেও সেটি যেন আইন দ্বারা নির্ধারিত নীতি, মানদণ্ড ও পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োগ করা হয়—এ বিষয়েও সম্মতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধানে নতুন আইন যুক্ত হলে এই ক্ষমার অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশও আমলে নেওয়া হচ্ছে।’

এদিন আলোচ্য সূচিতে থাকা জরুরি অবস্থা ঘোষণার আইনি কাঠামো নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ বিষয়ে আলোচনা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘এনসিসি আলোচনার বাইরে থাকায় জরুরি অবস্থার বিষয়টি নতুনভাবে সব রাজনৈতিক দলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, আজকের আলোচনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে দুইটিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। আগামী সপ্তাহে আরও নতুন বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে, এবং কমিশন আশাবাদী—সমঝোতার পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।