ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সহায়তা বন্ধ করেছি এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করছি, যেন এটা নিশ্চিত করা যায় যে, এটি সমস্যার সমাধানে অবদান রাখছে। খবর বিবিসির
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আকস্মিক হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছিল। দেশটিকে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি অনেক দূরে’ — এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই সহায়তা বন্ধের ঘোষণা আসে।


এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং রাশিয়ার হাত থেকে দেশটিকে রক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার। তিনি জানান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশগুলো একটি জোট গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে এবং ইউক্রেনের প্রতি তাদের এই সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।
লন্ডনে ১৮ দেশের নেতাদের সম্মেলনের পর স্টারমার বলেন, আমরা আজ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে আছি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপের অন্যান্য নেতারাও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, ইউরোপকে পুনরায় অস্ত্রে সজ্জিত করার জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। একই ধরনের মত দিয়েছেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুত্তে। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রয়োজন মেটাতে ইউরোপীয় দেশগুলো লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।
সম্মেলনের পর ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হবে বলে মনে করছেন ইউরোপীয় নেতারা। কেইর স্টারমার বলেছেন, আমরা ট্রাম্পের সঙ্গে জরুরি শান্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন সবার একযোগে কাজ করার পালা।