কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ
ঈদুল আজহার কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৫ মে) কোরবানির পশুর হাট, কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা এবং আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রতিবছর অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এবার গরিব, এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলোর প্রাপ্য চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ৫ শতাংশ হাসিল (টোল) কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এবার দুই পাশে ২০টি হাট বসানো হবে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। থাকছে চিকিৎসকের ব্যবস্থাও—যাতে অসুস্থ পশু বিক্রি না হয় এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা জরুরি চিকিৎসা পান। প্রতিটি হাটে পর্যাপ্ত আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
উপদেষ্টা আরও জানান, তিন দিনব্যাপী কোরবানির মধ্যে প্রথম দিনেই প্রায় ৯০ শতাংশ পশু কোরবানি হয়। এরপরও কিছু পশু কোরবানি হয়। তাই দ্রুত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসকরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সচিবালয়ে বিক্ষোভকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কী ভাবছেন?- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে আইনটা হচ্ছে এটা এরকম কি না ২০১৮ সালে সংশোধন হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার একটা সংশোধন করে ইলেকশনটা যাতে ম্যানুপুলেট করতে পারে, ওই রকম কিছু কিছু সংশোধন করেছিল। ওই সংশোধনটা শুধু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে যে রকম আইনটি ছিল ওটাই করা হয়েছে। তারপরও যদি তাদের কোনোরকম ই (আপত্তি) থাকে, তারা আলোচনা করতে পারেন, কেবিনেট ডিভিশন কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে নেবেন।’
কেন এ সময়ে এই অধ্যাদেশ করা জরুরি- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটার ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারবো না, কেন এটা দিতেছে। যে রকম যেটা যে সময় দরকার পড়ে, সেই সময় সেটা দেয় (করা হয়)।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে (আইনটা) পরিবর্তন হয়েছে। এখন আবার একটু সংশোধন হয়েছে। এটাতো ওই রকম কিছু না।’