সচিবালয়ে আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি
সচিবালয়ে চলমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দ্বিতীয় দিনের মতো আজও তারা সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দ্রুত তা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।


অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কার্যকলাপে যুক্ত হন যা অন্যদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করে— তাহলে তিনি ‘অসদাচরণের দায়ে’ দণ্ডিত হবেন।
দণ্ড হিসেবে কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত অথবা নিম্নপদে অবনমিত করা যাবে। অভিযোগ গঠনের সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দোষী সাব্যস্ত হলে আরও সাত কর্মদিবসে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
অভিযোগে দণ্ডিত কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না। তবে পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সুযোগ থাকবে।