ডিসেম্বরের মধ্যে চকবাজার থেকে ৫০০ কারখানা স্থানান্তর: মেয়র তাপস

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২২

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজধানীর চকবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া রেস্টুরেন্টের ভবনটি অবৈধ। সেখানে ছিল না কারখানা, গ্যাস ও পানির লাইনের লাইসেন্স। এটি মূলত ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এই এলাকা থেকে অন্তত ৫০০ কারখানা, গুদাম স্থানান্তর করা হবে।

আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নদী অববাহিকার এই এলাকাটি হবে ট্যুরিস্ট স্পট। কিন্তু এই এলাকায় গুদাম, কারখানা দিয়ে ভরিয়ে ফেলা হয়েছে। আপনারা জানেন, ২০১৮ সাল থেকে এই এলাকায় নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া বন্ধ রয়েছে।

মেয়র বলেন, আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে এখানে অবৈধ ২ হাজার ৪০০-এর বেশি ভবন শনাক্ত করেছি। পর্যায়ক্রমে এগুলো এখান থেকে সরানো হবে। যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এটি দুর্ভাগ্যজনক।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, কাউন্সিলদের মধ্যে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আ স ম ফেরদৌস আলম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরে আলম, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইদুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের মহিলা কাউন্সিলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Nagad

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে বরিশাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। একই ভবনের ওপর তলায় পলিথিন ও প্লাস্টিক কারখানা থাকায় মুহূর্তেই তীব্র আকার ধারণ করে আগুন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। পরে ওই দিন বিকেলে আগুন লাগা ভবন থেকে একে একে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।