‘সন্ত্রাস বন্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিগগিরই অভিযান, থাকবে সেনাবাহিনী’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২২

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদকের বিস্তার রোধে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আমরা মাঝে মধ্যেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করছি। বিনা কারণে রক্তপাতও দেখছি। মাঝে মধ্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও লক্ষ্য করছি। এটার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভ্যন্তরে গোয়েন্দা কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে তথ্যভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, সেসব অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার তো আছেই; যদি প্রয়োজন হয় সেখানে আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হবেন। ওখানে এপিবিএন কাজ করছে।

রোববার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোহিঙ্গা-সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা রোহিঙ্গাদের নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো প্রস্তাব আসেনি।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো প্রস্তাব আসেনি। প্রস্তাব পেলে অল্পসংখ্যক নয়, অধিকসংখ্যক নেওয়ার জন্য বলব। এতে আমাদের সুবিধা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ও বাস্তবতার নিরিখে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার, পুলিশ, এপিবিএন- যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে অভিযান পরিচালনা করবে।

Nagad

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক আসার তথ্য সরকারের কাছে আছে। এই মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে প্রয়োজনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন–পীড়নের মুখে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। দীর্ঘদিনেও নিজভূমে না ফেরায় রোহিঙ্গারা হত্যা খুন-গুমসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।