রক্ত দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে ২ তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেট সংবাদদাতাসিলেট সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২২

সিলেটে দুই তরুণীকে একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে দুইটি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) নগরীর জালালাবাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পৃথক মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই দুই তরুণী। তাদের অভিযোগ, একজন রোগীকে রক্ত দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে ধর্ষণ করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- সিলেট নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলা এলাকার রানা আহমদ ওরফে শিপলু (৩৫), ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নয়বাজারের বাসিন্দা জুবেল (৩১), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মোহাইমিন রহমান ওরফে রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জের হরিনাপাটি গ্রামের নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার তানজিনা আক্তার ওরফে তানিয়া (২৫)। দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুই বাদী সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৩ আগস্ট পাঠানটুলা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তারা ধর্ষণের শিকার হন।

২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানজিনা আক্তার নামের এক বান্ধবী ফোন করে বালাগঞ্জের এক তরুণীকে রক্ত দেওয়ার জন্য তাদের দুজনকে রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কৌশলে দুই তরুণীকে হাসপাতালের পাশে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ ও যুবক তাদের আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ সময় দুই তরুণীর মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন ২৪ আগস্ট বেলা ১টার দিকে দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে ‘তাদের সাথে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’ বলে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে মামলা করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার শিকার দুই তরুণীকে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। ঘটনার শিকার দুই তরুণীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

Nagad

সারাদিন/৩১ আগস্ট/এমবি