আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২

বিসিএসে পরীক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে পিএসসি

বিসিএসের পরীক্ষাপদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। গত কয়েকটি বিসিএসের ফলাফল মূল্যায়ন করার পর দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বেশি প্রশ্ন করা হচ্ছে। এ কারণে বিজ্ঞান থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে পিএসসির অধীন যত প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে, সেগুলোয় প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্য’ রাখা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা হবে। এর ফলে কোনো একটি বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা বেশি সুবিধা পাবেন না। শিগগিরই পরিবর্তিত এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। পিএসসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।৪০তম বিসিএসের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা বেশি সুবিধা পেয়েছেন।কারণ, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। এতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা যতটা ভালো করেছেন, সে তুলনায় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে আসা প্রার্থীরা ততটা ভালো করতে পারেননি।৪০তম বিসিএসের পর দেখা গেছে, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরাই ভালো ক্যাডার পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে। তাঁরা ১৫টি ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। শুধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকেই প্রশাসন ক্যাডারে ৫০ জন চাকরি পেয়েছেন। সূত্র: প্রথম আলো

বিদ্যুৎ খাত
৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ

কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ কম্পানিগুলোকে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এটি ক্যাপাসিটি চার্জ বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতার ভাড়া নামে পরিচিত। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।এই অর্থ দেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যয়ের বোঝা বাড়াচ্ছে।এই বোঝা হালকা করতে সরকারকে যেমন ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তেমনি বিদ্যুতের দামও বাড়াতে হচ্ছে। এতে শেষ পর্যন্ত টাকাটা গ্রাহকদের পকেট থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়, সরকারি-বেসরকারি ৯০টি কেন্দ্রকে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভাড়া দিতে হয়েছে এক হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে এলএনজিভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতেও থাকছে ক্যাপাসিটি চার্জ। বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু এ পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। কম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারের করা ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ উৎপাদন বা কেনা না হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভাড়া বাবদ নির্দিষ্ট হারে অর্থ (ক্যাপাসিটি চার্জ) পরিশোধ করতে হবে। এই ৯০ হাজার কোটি টাকা সেই অর্থ, যা কম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই পেয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সীমানা জটিলতার মীমাংসা হয়নি
১৫০ সংসদীয় আসনে ভোটারের ভারসাম্য নেই ৩৭টি খণ্ডবিখণ্ড

কুমিল্লা-১০ আসনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন। ভোটার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি। এ আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিনের। মামলাও রয়েছে। শুধু কুমিল্লা-১০ আসন নয়, তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে ধর্মপাশা, তাহিরপুর এবং জামালগঞ্জ উপজেলা; সিলেট-৩ আসনে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। আবার ঠাকুরগাঁও-১ আসন গঠিত হয়েছে শুধু সদর উপজেলা নিয়ে। কিন্তু এ জেলার রাণীশংকৈল উপজেলাকে ভেঙে ঠাকুরগাঁও-২ ও ৩ আসনে দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া ঢাকা জেলায় এখন ২০টি সংসদীয় আসন। ২০১১ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ। এবারের জনশুমারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ। বর্তমানে প্রতিটি আসনের জনসংখ্যা গড়ে ৭ লাখ ৩৫ হাজার। এর বিপরীতে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠিতে সংসদীয় আসন মাত্র দুটি। নতুন শুমারিতে এ জেলায় লোকসংখ্যা ৬ লাখ ৬১ হাজার। প্রতিটি আসনের বিপরীতে জনসংখ্যা গড়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদ্যমান সীমানায় ১৫০টি আসনে ভোটারের ভারসাম্য নেই। ৩৭টি আসনে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা হয়নি। এক উপজেলাকে খণ্ড-খণ্ড করে বিভিন্ন আসনে দেওয়া হয়েছে। ফলে একই উপজেলায় একাধিক সংসদ সদস্য থাকায় জনগণ অবহেলার শিকার হচ্ছে। বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৬৪ জেলার অধিকাংশ আসন নিয়েই পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন করেছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকরাও ছিলেন আবেদনকারীর তালিকায়। তবে বিগত নির্বাচন কমিশন মাত্র ১২ জেলার ২৫টি আসনের সীমানা আংশিক পরিবর্তন করে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে কৌশল প্রস্তুত করছে সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি খসড়া গাইডলাইন থেকে জানা গেছে, বিদেশে পাচার করা অর্থ বা সম্পত্তি চিহ্নিত করার পর জব্দ বা বাজেয়াপ্ত করার কৌশল প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছে সরকার। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে যেখানে অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেই দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করে অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া।
সম্পদ জব্দ করতে আদালতের আদেশ পেতে দেরি হলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে লেটার অব রোগেটরি পাঠিয়ে ওই দেশের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাচারকারীর অর্থ বা সম্পদ অন্য দেশে স্থানান্তর প্রক্রিয়া আটকে দেবে করবে সরকার। লেটার অব রোগেটরি হলো, বিচারিক সহায়তার জন্য এক দেশের আদালত থেকে অপর একটি দেশের আদালতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ। সরকার মনে করছে, এতে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি আর্থিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তার তদন্ত প্রভাবিত করার ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়বে, যা দ্রুত ও যথাযথ তদন্তে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে ‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার: আইনী কাঠামো ও কৌশলগত প্রক্রিয়া’ শিরোনামে প্রণীত খসড়া গাইডলাইনে এসব কৌশলের কথা উল্লেখ রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ৭.৫ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকারীরা অর্থ-সম্পদ দেশে ফেরত আনতে পারবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ সুবিধার আওতায় একজনও অর্থ ফেরত আনেনি। সূত্র; বিজনেস স্ট্যার্ডার্ড।

ভাঙন ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ
হুমকিতে দেশের একমাত্র মেরিন ড্রাইভ

পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এখন বেশ জনপ্রিয় স্থান। সড়কের একদিকে বঙ্গোপসাগর আর অন্যপাশে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়। এ দুটির সম্মিলন যেন দেশের একমাত্র মেরিন ড্রাইভকে করেছে অনন্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর নির্মিত সড়কটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক এ পথ পাড়ি দেন। তবে কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করা ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখন হুমকির মুখে। সমুদ্রসৈকত থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে সৃষ্টি হয়েছে ভাঙন। তার ওপর যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ, মেরিন ড্রাইভের পাশে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঘরবাড়ি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই সংস্কারের ব্যবস্থা না নেয়া হলে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠবে সড়কটি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা। ফলে প্রতিনিয়ত বঙ্গোপসাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ আঘাত হানছে মেরিন ড্রাইভের ওপর। সাগরের বাড়তে থাকা উচ্চতা এবং পাড়ের অব্যাহত ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের পাশ ঘেঁষে তৈরি এ সড়কের কিছু অংশ পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। বিশেষ করে কলাতলী থেকে সাবরাং পর্যন্ত সড়ক চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে।সরজমিনে দেখা গিয়েছে, মেরিন ড্রাইভের কক্সবাজার অংশের কলাতলী, দরিয়ানগর, বড়ছড়া, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, সি-পার্ল হোটেলের সামনেসহ টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সড়ক রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থায় এ ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটি শিগগিরই হয়তো বিলীন হয়ে যাবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত
অর্থনীতিতে ৩ কারণে সংকট
দিন যত যাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। বেশিরভাগই প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে দিন দিন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে তাদের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে শিল্প উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা তো দূরের কথা পুরোনোরাই টিকে থাকতে পারছে না। বর্তমানে যেসব ব্যবসায়ীর ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা আছে, তাদের অবস্থা ভালো। এছাড়া বাকি অধিকাংশের অবস্থা খারাপ। আগামীতে কর্মসংস্থানে এর প্রভাব পড়বে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মোটা দাগে তিন কারণে এই সংকট। প্রথমত, দীর্ঘদিন থেকে রাষ্ট্রের খাতের সংস্কারের অভাব, করোনার আঘাত এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব।বর্তমানে পরিস্থিতি যে জায়গায় গেছে, তাতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হলেও ২০২৪ সালের আগে এ সংকট কাটবে না। এ অবস্থার উত্তরণে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন জরুরি। এক্ষেত্রে সবার আগে সমস্যার কথা স্বীকার করতে হবে। এরপর সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। কারও জন্য তা আতঙ্কের। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থাকলে অর্থনীতির দুর্বলতা আরও ঘনীভ‚ত হয়, সবল দিকগুলো দুর্বল হতে থাকে। সূত্র: যুগান্তর।

আওয়ামী লীগে বাদ যাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপি, বিদ্রোহী

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থীর ছড়াছড়ি। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি দলের জেলা-উপজেলা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা দলীয় মনোনয়নের আশায় রীতিমতো মুখিয়ে আছেন।নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী ১১ প্রশাসকের নাম ওই তালিকায় রাখা হয়নি। তালিকায় কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপির পাশাপাশি দুইজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলা পর্যায়ে সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ এবং দক্ষ নেতার নাম রয়েছে। তবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাঁদের কয়েকজনের নাম থাকলেও প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আগামীকাল রোববার থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফরম সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার জন্য দলীয়ভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপিদের দলের মনোনয়ন না দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাদ পড়বেন গত নির্বাচনে বিজয়ী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তা ছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে নানা কারণে বিতর্কিত নেতাদের মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে এবার নতুন মুখের ছড়াছড়ি হবে। সূত্র: সমকাল

প্রতি বছর হবে একটি বিসিএস, আসছে আরও বড় সব পরিবর্তন
প্রতি বছর একটি করে বিসিএস পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। নভেম্বর মাসে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে তাতে থাকবে প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা ও ফলাফলের সম্ভাব্য মাস। বর্তমানে চলমান সব পরীক্ষাও আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি। উত্তরপত্র মূল্যায়নে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে পরীক্ষকদের জন্যও আসছে নতুন নির্দেশনা। চেষ্টা করা হচ্ছে ভুলভ্রান্তি কমানোর। মৌখিক পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন রূপরেখা। সিলেবাসেও আসছে পরিবর্তন।জানা যায়, আগে একটি বিসিএস পরীক্ষা শুরু করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত পার হয়ে যেত দুই থেকে তিন বছর। এ দীর্ঘসূত্রতার কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে চলে যেত মূল্যবান সময়। বিসিএসের ফলাফলের অপেক্ষায় থেকে কারও কারও সরকারি চাকরির বয়সও যেত শেষ হয়ে। অনেকে নতুন করে আর আবেদনেরই সুযোগ পেতো না। চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করা একাধিক ব্যক্তি জাগো নিউজকে জানান, পিএসসির বিসিএস পরীক্ষা শুরু হলে কবে শেষ হবে তা আয়োজন কর্তৃপক্ষও বলতে পারে না। মেধাবীদের স্বপ্ন থাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়া। অন্য পরীক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কমে যায়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে এ পরীক্ষা আয়োজন করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে কবে কোন পরীক্ষা নেওয়া হবে ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেটি উল্লেখ করার দাবি জানান তারা। সূত্র: জাগো নিউজ

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী-চা শ্রমিক আলাপন

প্রায় দুইশো বছর ধরে যে জনগোষ্ঠীটি গহীন-নির্মম পাহাড়কে নিজেদের রক্ত আর ঘামে অর্থকরী অরণ্যে পরিণত করেছেন আজ তাদের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথমবারের মতো তারা সরাসরি কথা বলবেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বাংলাদেশের চা শ্রমিকের জীবনে এতো বড় ঘটনা আর ঘটেনি। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন চা-বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। চা শ্রমিকরা অবাক হয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রীকে। আজকের মাহেন্দ্রক্ষণ নিয়ে তাদের আনন্দের সীমা নেই। আনন্দঘন এ মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে ব্যস্ত রয়েছে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন। প্রস্তুত করা হয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগান ক্লাব বাংলার মাঠ। এসব তথ্য শ্চিত করেছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মজিবর রহমান।সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ পিপিএম জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানকে ঘিরে সিলেটে লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠ ও আশপাশ এলাকায় গত দুদিন ধরে পুলিশ অবস্থান করছে। এলাকাটি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে-সূত্র: বাংলানিউজ

 

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি-সেক্রেটারিরা কে কোথায়?
জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরির জন্য এর একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি- এই তিন মূলনীতিকে ধারণ করে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আশির দশকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংসদে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল এই ছাত্র সংগঠনটির। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কিংবা এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামেও সামনের সারিতে দেখা গেছে ছাত্রদলকে। যদিও বর্তমান সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠনটির অতীত ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। নানা প্রেক্ষাপটে ছাত্রদলের সভাপতি ও আহ্বায়কের পদে এসেছেন ২৪ জন। সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়কের পদে আসীন হয়েছেন ২২ জন। ৫০২ সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা। এছাড়া কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যেমন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় যারা
১৯৮৫-৮৬ সালের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন শামসুমান দুদু। ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী, সাবেক এমপি, কৃষক দলের সভাপতি, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের মতো বিভিন্ন পদ অলঙ্কৃত করেছেন তিনি। সূত্র: ঢাকা মেইল