কেরানীগঞ্জে চুলার আগুনে একে একে ছয় জনের মৃত্যু

কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতাকেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

সংগৃহীত

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন একে একে ছয়জনই মারা গেলেন।

বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবশেষ মো: ইয়াছিনের (১২) মৃত্যু হয়।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সবশেষ মারা গেলো ইয়াছিন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন- মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।

মৃত ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ইয়াছিনের আরেক ভাই রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারে সন্তান দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ টানতে হিমশিম অবস্থা রশিদের। তবে শতচেষ্টায়ও সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক আব্দুর রশিদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি রিকশা চালিয়ে খাই। অনেক কষ্টে ছেলে দুটোকে বড় করেছি। ও (ইয়াছিন) আজ আমাদের রেখে চলে গেলো। পুড়ে যাওয়ার পর অনেক পয়সা খরচ হয়েছে। তবুও সন্তানটাকে বাঁচাতে পারলাম না।”

ইয়াছিনের পরিবার ও ইদুনী বেগমের স্বামী মোক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনায় তারা চরম আর্থিক অনটনে পড়েছেন। সরকারি বা ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ তাদের সহায়তা করলে তারা কৃতজ্ঞ থাকবেন।

Nagad

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় এক পরিবারের ছয় সদস্যকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল।

সারাদিন/০৮ সেপ্টেম্বর/এমবি