চীনে করোনা কোয়ারেন্টাইন বাস দুর্ঘটনা, নিহত ২৭

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রবিবার সকালে মহামারি করোনার মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত একটি বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে।

সানডু কাউন্টি পুলিশের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুইঝো প্রদেশের একটি এক্সপ্রেসওয়েতে বাসটি উল্টে যায়, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে যে, ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাসটি প্রদেশের রাজধানী গুইয়াং-এ কোভিড কোয়ারেন্টাইনে রাখা লোকদের স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। গুইঝো ডেইলি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

চীনের কোভিড-জিরো কৌশলের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনা ও কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে দেশটিতে। দীর্ঘদিন ধরেই কোভিড রোধে লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন এসবের সমালোচনা করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।

বাস দুর্ঘটনাটি ঘটলো কমিউনিস্ট পার্টির এক দশকের দুইবার নেতৃত্বের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে আবারও পদে অধিষ্ঠিত হয়ে নজির ভাঙবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে কোভিড নীতির ক্ষেত্রে লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন শিথিল করবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

Nagad

চীনা বিজনেস নিউজ আউটলেট কাইক্সিন বলছে, স্যান্ডু কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে যাত্রীরা মহামারি করোনায় আক্রান্ত; তাদেরকে প্রাদেশিক রাজধানী গুইয়াং থেকে লিডো কাউন্টিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাস পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েই গেছে।

তবে করোনা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। দেশটির কোভিড জিরো নীতির কারণে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলেও এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশটি। যদিও কোভিড জিরো নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে শি জিনপিং সরকার। এখনো লকডাউন জারি রয়েছে দেশটির কোনো কোনো শহরে। লকডাউন জারি থাকার কারণে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিয়ে রয়েছে বিধি নিষেধ। সূত্র: ব্লুমবার্গ