ঢাবির জগন্নাথ হলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঘুমের মধ্যেই অমিত সরকার (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অমিত সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের কোতোয়ালি উপজেলার বালিয়া ঘাটে। তার বাবার নাম চিত্তরঞ্জন সরকার।
অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, “গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অমিত ঘুমিয়েছিল। রুমমেটদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এখন তো শিক্ষার্থীরা একটু দেরি করেই ঘুমায়, আবার দেরি করেই ওঠে। এজন্য কেউ ওকে ডাক দেয়নি। কিন্তু সকাল ১১টার পরেও যখন সে জাগ্রত হয়নি, তখন তার বন্ধুরা তাঁকে ডাক দেয়, ডাকে সাড়া না পেয়ে একটু ধাক্কাও দেয়। কিন্তু তারপরও কোনো সাড়া না পাওয়াতে তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আমাকে জানায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকেরা তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও ইসিজি রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা বলছেন, অমিত হয়তো ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এর বেশি কিছু প্রাথমিকভাবে তারা বলতে পারেননি।”
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা লাশ হলে আনা হয় এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে অমিতের এক বোনের স্বামী এখানে আসেন এবং যশোর থেকে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকার পথে আছেন বলে জানা যায়।”
অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, “অমিতের পরিবার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু এরকম মৃত্যুর পর নিয়ম হলো নিকটবর্তী থানা বা প্রশাসনের মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হয়। এজন্য সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই লাশ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।”
সারাদিন/২০ সেপ্টেম্বর/এমবি