করোনার প্রথম ডোজের সময়সীমা বাড়ল ৮ অক্টোবর পর্যন্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২২

করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় এই সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৪, ৬ ও ৮ অক্টোবর এই ক্যাম্পেইন চলবে। এরপর আর প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বিশেষ ক্যাম্পেইন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

তিনি বলেন, বিশেষ এই টিকা ক্যাম্পেইন আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ছুটি ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আরো তিন দিন এই কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৪, ৬, ৮ তারিখ পর্যন্ত বাদ পড়া ব্যক্তিরা নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এরই মধ্যে গত ছয়দিনে এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ছয় লাখ দুই হাজার ৪৮ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ চার হাজার ৬৩৮ জনকে। আর বাকিগুলো দেয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ।

আহমেদুল কবির বলেন, টিকাদানের কারণেই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। তবে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার খুবই কম। এসব চিন্তা করেই বাদ পড়াদের টিকার আওতায় আনতে নতুন করে আবারো সময় বাড়ানো হয়েছে।

আগামী ৮ অক্টোবরের পর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে কি না জানতে চাইলে টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, যৌক্তিক কারণে কেউ টিকা থেকে বাদ পড়ে থাকলে তাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা হয়ত আর এভাবে কোনো ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবো না, তবে তারা হাসপাতালের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্র থেকে নিতে পারবে। এমনকি এখন যারা প্রথম ডোজ নিচ্ছে, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষিত থাকবে।

শামসুল হক বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে। সময় বাড়িয়েছি যাতে সবাই টিকা পান। আশা করছি, এই সুযোগ আমাদের জন্য অনেক ভালো সুফল বয়ে আনবে।’

Nagad

এ সময় ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় আসার ফলে এখনও আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম। ব্যাপক হারে টিকা দেওয়ার এটি একটি বড় প্রভাব। তাই সার্বিকভাবে বিবেচনা করে আমরা এই সময় বাড়িয়ে দিচ্ছি।’