‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

পাবনা সংবাদদাতা:পাবনা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল নাগরিকের হৃদয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অমলিন থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের (মুক্তিযোদ্ধা) যোগ্য সম্মানের জায়গায় আসীন করেছেন জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্পিকার আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন এবং সাথিয়া উপজেলা মিলনায়তনে পৃথকভাবে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি উপজেলা দু’টির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধার অবদান স্মরণ করে শামসুল হক টুকু বলেন, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করেন। নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ছিল জাতির পিতার ৭ মার্চের সেই নির্দের্শনা ‘তোমাদের যা আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো’। এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

ডেপুটি স্পিকার এ সময় উল্লেখ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা নৌকার পক্ষে আছেন বলেই বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের সুনাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পথে।

Nagad

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে নিয়ে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, মাদকমুক্ত ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পথে বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব সম্পর্কে শামসুল হক টুকু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এ দেশের কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। ‘আমি আজ ডেপুটি স্পিকার হয়েছি-তাঁদের কল্যাণেই, তাঁরা দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউই স্বাধীন দেশের নাগরিক থাকতাম না, আমরা যারা বড়-বড় পদে আছি, আমরা এই পদে থাকতাম না। এত বড় জয়ের পরও মুক্তিযোদ্ধাদের কর্তব্য শেষ হয়ে যায় নি, তাঁদের দায়িত্ব এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ায় নেতৃত্ব দেয়া।’

ডেপুটি স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যতদিন অবশিষ্ট থাকবে, ততদিন এ দেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। পৃথক অনুষ্ঠানেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ সবুর আলী সভাপতিত্বে এবং সাথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান দু’টিতে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল হক, সাথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বেড়া এবং সাথিয়া উভয় অনুষ্ঠানেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।