ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন ঋষি সুনাক
অবশেষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঋষি সুনাক। তিনি দেশটির ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন। ব্রিটেনের গত ২০০ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, তিনি বাকিমহাম প্যালেসে ব্রিটেনের তৃতীয় রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানেই রাজা চার্লস সুনাককে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। এর পরেই সুনাককে দেশটির আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবর এলো।
এদিন স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হতে বাকিংহাম প্যালেসে যান ঋষি সুনাক। সেখানে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।
এক বছরের মধ্যেই দেশটি তিনজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেল। বর্তমানে সুনাক ডাউনিং স্ট্রিতে যাচ্ছেন। শিগগির তিনি সরকার হিসেবে কাজ শুরু করবেন এবং মন্ত্রী পরিষদ গঠন করবেন।
এর আগে ইতিহাস গড়ে ক্ষমতাসীন পার্টি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন ঋষি সুনাক। এর আগে একই বয়সে রবার্ট ব্যাংক্স জেনকিনসন ১৮১২ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে বসেন। পরবর্তীতে ডেভিড ক্যামেরন ৪৩ বছর বয়সে ২০১০ সালে সবচেয়ে কম বয়সী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরেক রেকর্ড গড়েন।
প্রসঙ্গত, মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে ঋষি সুনাককে হারিয়ে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন লিজ ট্রাস। তবে মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি। লিজ ট্রাসের বিদায়ের পর নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে যে কয়েকজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছিল তাদের মধ্যে বরিস জনসনও ছিলেন। এমনকি তিনি ঋষি সুনাককে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বরিস। এর আগে ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন ঋষি সুনাক। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ঋষি।
