‘সব হাইওয়ে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে, টেম্পু-ভটভটির আলাদা লেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের সবগুলো হাইওয়ে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা ক্যামেরার আওতায় চলে আসে। তিনি বলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলেই আমরা বলি চালককে ধরো। সেই দুর্ঘটনার নায়ক। চালককে না পেলে গাড়ি পুড়িয়ে দেই। এটি সাধারণ নিয়মের মধ্যে পড়ে গেছে। উত্তেজিত জনতা সেটাই করি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, হাইওয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ গঠন কারা হয়েছে। কিন্তু আমাদের অগোছালো চলাফেরা চলতে থাকলে হাইওয়ে পুলিশ কী করবে? তার জন্য আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে টেম্পু-ভটভটির জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হচ্ছে, যেন হাইওয়ে ফ্রি থাকে। কাজটি করতে পারলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা নিস্তার পাব। কারণ, মহাসড়কে টেম্পু-ভটভটিও দায়ী সড়ক দুর্ঘটনার জন্য।

কামাল বলেন, বাসচালক কিংবা বাস মালিক কেউ ইচ্ছাকৃত সড়ক দুর্ঘটনা চান না। কারণ, দুর্ঘটনা হলে চালকেরও প্রাণ যেতে পারে। আমাদের দেশে যত প্রাণঘাতী রোগ রয়েছে তার চেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয় প্রতিনিয়ত এবং এতে আহত ও নিহত হনও বেশি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, কোনো দুর্ঘটনায় মামলার তদন্ত পুলিশকে দিয়ে না করিয়ে সড়ক নিয়ে কাজ করেন এমন অভিজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। এতে যদি আমাদের চালক কিংবা পরিবহন শ্রমিক জড়িত থাকেন তাদের আইনের আওতায় আনা হলে আমাদের কিছুই বলার থাকবে না। ওভারটেকিং করব না, সাবধানে সবাই গাড়ি চালাব।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী।

Nagad

আরও উপস্থিত ছিলেন- এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বুয়েট) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুল হক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ।