আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২২

দায়িত্ব নিয়েই জেলেনস্কিকে ফোন সুনাকের

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। খবর এএফপির। সুনাক গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জেলেনস্কিকে ফোন করেন।যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুনাক প্রথম যে বিদেশি নেতাকে ফোন দিয়েছেন, তিনি জেলেনস্কি। ফোনে জেলেনস্কিকে যুক্তরাজ্যের অবিচল সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন সুনাক। দুই নেতার ফোনালাপের পর এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সুনাকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ফোনালাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকারের সময় ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন বরাবরের মতোই শক্তিশালী হবে।ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে কিয়েভের প্রতি লন্ডনের সংহতি অব্যাহত থাকবে বলে জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেছেন সুনাক। তিনি বলেছেন, তাঁর সরকারের ওপর জেলেনস্কি নির্ভর করতে পারেন।যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন লিজ ট্রাস। নতুন প্রধানমন্ত্রী হন সুনাক। সূত্র: প্রথম আলো

টিকে থাকতে সুনাককে এখন যা করতে হবে

দুই মাসের মধ্যে তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখল যুক্তরাজ্য। তা-ও আবার কোনো নির্বাচন ছাড়াই! ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বরিস জনসনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করে। সাফল্যের পাশাপাশি তাঁর কথিত ব্যর্থতা ও বিতর্কও কম নেই। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে জনসনের পদত্যাগের পর লিজ ট্রাস ক্ষমতাসীন দল তথা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগে বাধ্য হলেন। এতেই মাত্র ৪২ বছর বয়সী ঋষি সুনাকের প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হয়। ব্রিটিশ দৈনিক ‘টেলিগ্রাফ’ বলেছে, যুক্তরাজ্যের বিপর্যয়কর অর্থনীতি সামাল দিতে ঋষি সুনাক কতটা সফল হবেন তা নির্ভর করছে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলো : মন্ত্রিসভায় সঠিক রদবদল-যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে। এর আগে ঋষি সুনাককে এমনভাবে মন্ত্রিসভা সাজাতে হবে, যা আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দুই বছর দায়িত্ব পালন করতে পারে। গতকাল মঙ্গলবারই মন্ত্রিসভার গঠনপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। গত জুলাইয়ের পর থেকে মন্ত্রিসভায় যেভাবে একের পর পদত্যাগ ও নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া চলেছে, তা থেকে বের হতে হবে। সূত্র: কালের কন্ঠ

পরিত্রাতা হতে পারবেন?

আর্থিক দুর্দশার দরিয়ায় যুক্তরাজ্য যখন হাবুডুবু খাচ্ছে, তখন নেতৃত্বের হাল ধরলেন ঋষি সুনাক। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণ নেতা কি পারবেন দল, দেশ ও দেশবাসীকে সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ করতে? এ নিয়ে কথা বলেছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ কেভিন আলবার্টসন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সহকারী সম্পাদক জাহাঙ্গীর সুর- আমাদের সময় : প্রিয় কেভিন আলবার্টসন, অর্থনীতি অধ্যয়নে আপনার বিশদ অবদান অনস্বীকার্য। টরিদের নেতৃত্বের লড়াই এবং ঋষি সুনাকের শাসনামলে নতুন যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
কেভিন আলবার্টসন : ধন্যবাদ। আমি যে কথাগুলো বলব, তা চলমান বিশ্ব মন্দার প্রেক্ষাপটে নেওয়া উচিত। অল্পতেই বড় কথাটি এভাবে বলা যায়, [যুক্তরাজ্যের] যে কোনো রাজনীতিবিদ যিনি নাকি ‘জাতিকে বাঁচানোর জন্য’ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উচ্চাশা পোষণ করবেন, তিনি আসলে পরিস্থিতিকে খারাপ থেকে খতরনাক করে তুলবেন।আমাদের সময় : কে হবেন কাণ্ডারি- তা নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি স্পষ্টতই বিভক্ত ছিল। কী কারণে দলটি এমন বিপর্যয়কর বাস্তবতায় পতিত হয়েছে?
কেভিন আলবার্টসন : যুক্তরাজ্য যেসব সংকটে পড়েছে, এর থেকে উত্তরণ পেতে কী করা উচিত- এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আর মুশকিলটা ঠিক এখানেই। সাবেকি ধারার তথা সংস্কারবিমুখী অনেক টরি নেতা মনে করেন, জাতির কল্যাণের স্বার্থে অর্থনীতি গঠনে সরকারের ভূমিকা রাখা উচিত। অন্যদিকে, [সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও টরি নেতা] মার্গারেট থ্যাচারের নীতিপন্থি নেতারা বিশ্বাস করেন, অর্থনীতি গঠনের উদ্যোগ নিতে গিয়ে সরকার ভালোর চেয়ে বরং আরও বেশি অনিষ্ট ডেকে আনতে পারে। এর চেয়ে ঢের ভালো, বিষয়টা বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া। অথচ দেখুন, থ্যাচারের নীতিগুলো চার দশক ধরে নিরীক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু সাফল্য এনে দিতে এগুলো সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। যেমনটি আমরা দেখিয়েছি “নাইন্টিন সেভেন্টি নাইন অ্যান্ড অল দ্যাট : আ ফোর্টি-ইয়ার রিঅ্যাসেসমেন্ট অব মার্গারেট থ্যাচার’স লিগাসি অন হার ওন টার্মস” ৪০কেমব্রিজ গবেষণাপত্রে (সহলেখক পল স্টেপনি, জার্নাল অব ইকোনমিকস, খ- ৪৪, সংখ্যা ২, মার্চ ২০২০, পৃ. ৩১৯-৩৪২)। ন্যায্য কথা নোনতা লাগতে পারে, তবে টরি নেতৃত্ব নিয়ে নিরেট সত্য হলো : তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন রাজনীতিবিদ আছেন যারা বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে যে চ্যালেঞ্জগুলো দেখা দিয়েছে সেগুলো মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনা করার সার্বিক জ্ঞান ও দক্ষতা রাখেন। সূত্র; দৈনিক আমাদের সময় ।

Nagad

ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ
মিয়ানমার সীমান্তে আটকে আছে বাংলাদেশের সংযোগ

ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের চারটি রুট পড়েছে বাংলাদেশে। এসব রুটের অন্যতম উদ্দেশ্য ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, চীন, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর মধ্যে সহজেই পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছে বাংলাদেশ। তবে রুট চারটিতে যুক্ত হতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কক্সবাজারের রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি এবং সম্ভাব্য রেলপথে থাকা রোহিঙ্গা শিবির নেটওয়ার্ক এতে বড় বাধা বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এ অনিশ্চয়তা বাংলাদেশ অংশের ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা নিয়েই শঙ্কা তৈরি করেছে।জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের তিনটি রুটে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরো একটি নতুন রুট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে রুট-১ ভারতের গেদে থেকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এরপর ঈশ্বরদী-বঙ্গবন্ধু সেতু-জয়দেবপুর হয়ে টঙ্গী পর্যন্ত আসবে। সেখান থেকে আখাউড়ার-চট্টগ্রাম-দোহাজারী-রামু হয়েছে গুনদুম সীমান্ত দিয়ে চলে যাবে মিয়ানমারে। রুট-১-এর আরেকটি সাব-রুট আখাউড়া থেকে কুলাউড়ার শাহবাজপুর হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। দ্বিতীয় রুটটির শুরু ভারতের সিঙ্গাবাদ থেকে। সেখান থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। রাজশাহী-আব্দুলপুর-ঈশ্বরদী হয়ে সেটি মিশেছে রুট-১-এর সঙ্গে। রুট-৩-এর শুরুটাও ভারতের রাধিকাপুরে। এ রুট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে। সেখান থেকে পার্বতীপুর-আব্দুলপুর-ঈশ্বরদী হয়ে রুট-১-এর সঙ্গে গিয়ে মিলেছে। এ তিনটি রুটের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে আরো একটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে রুট প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত রুটটির শুরু ভারতের পেট্রাপোলে। বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর যশোর-ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা-টঙ্গী হয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রুটের মতোই রুট-১-এর সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের চার রুটের প্রতিটিই আবার কক্সবাজারের রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তের গুনদুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার অংশের ওপর দিয়ে গিয়েছে। এ রেলপথসহ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ডুয়াল গেজের একটি সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পটির মাধ্যমে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে চলে এলেও শুরু হয়নি রামু-গুনদুম অংশের নির্মাণকাজ। সূত্র: বণিক বার্তা।

ভয়ঙ্কর ইরানি ড্রোন: কেন ইউক্রেন যুদ্ধে ধবংসযজ্ঞ ঘটাচ্ছে, ব্যাখ্যা দিলেন ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞ

পশ্চিমাদের কাছে কুখ্যাতি আর বৈশ্বিক অস্ত্র বাজারে খ্যাতি– দুইই অর্জন করেছে ইরানের তৈরি ড্রোন। এগুলি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল বা চীনের তৈরি ড্রোনের মতো প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর নয় ততোটা। কিন্তু, রাশিয়া এ সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে ইউক্রেনীয় লক্ষ্যবস্তু ধবংস করতে সফলভাবেই ব্যবহার করছে। খবর ইউরেশিয়ান টাইমসের-গত ১০ অক্টোবর ইউক্রেনের রাজধানীতে প্রথমবারের মতোন ইরানের তৈরি আত্মঘাতী দিয়ে ড্রোন হামলার কথা জানা যায়। এরপর ১৭ তারিখেও আকাশপথ দিয়ে একের পর এক হামলায় কেঁপে উঠেছিল কিয়েভ। ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে শাহিদ-১৩৬ ড্রোনও ব্যবহার করে রাশিয়া। এই ড্রোন কিয়েভের শক্ত আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেদ করেও ত্রাস সঞ্চার করে। ড্রোনের আঘাতে মারা যায় অন্তত ৪ কিয়েভবাসী। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই আবাসিক ভবন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্যুয়ারেজ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট, সেতু, খেলার মাঠ ইত্যাদি অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে শত শত ইরানি কামিকাজে ড্রোন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘চীনকে মোকাবিলায়’ জাপান-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চুক্তি

গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার লক্ষ্যে গত শনিবার নিজেদের মধ্যে এক নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য জাপান টাইমস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে চীনের সামরিক উত্থানের বিরুদ্ধে কার্যকর অবস্থান নিতে চাইছে মিত্র দেশ দুটি। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজি।
ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, দুই গণতান্ত্রিক অংশীদার ঝুঁকির মুখে নিজেদের স্বার্থ ভাগাভাগি করছে। গোয়েন্দা, নজরদারি ও প্রাথমিক নিরীক্ষণ সম্পর্কে ব্যাপক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সূত্র: কালবেলা।

ঋষি সুনাককে বাইডেনের ফোন

যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। একইদিনে সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঋষি সুনাককে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য।হোয়াইট হাউজের তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ফোন করেন এবং অভিনন্দন জানান। দুই নেতার মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং চীনকে ঘিরে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করা নিয়েও কথা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ আরও জানিয়েছে, দুই নেতা ‘আমাদের দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছেন। বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন’। সূত্র: জাগো নিউজ

মধ্যবর্তী নির্বাচন: শঙ্কার কালো মেঘ বাইডেনের হোয়াইট হাউসে

কিছুকাল আগেও যে আশাবাদ ছিল, তা ক্রমশ ফিকে হয়ে আসায় আগামী মাসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের দুই কক্ষই ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউস বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।সেনেটের যেসব আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোতে কয়েক মাস আগেকার জনমত জরিপেও ডেমোক্র্যাটদের ভালো ব্যবধানেই এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে অতিষ্ঠ ভোটারদের বড় অংশ রিপাবলিকানদের দিকে হেলে পড়ায় এখনকার জরিপগুলো গণেশ উল্টে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সূত্র: বিডি নিউজ

ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১৪

ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী একটি জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ইস্ট নুসা তেনগারা প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।জানা গেছে, কুপাং থেকে কালাবাহির দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী নৌযানটি। হঠাৎ তাতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আতঙ্কে অনেকেই সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাহায্য চেয়ে খবর পাঠানো হলে দ্রুত অভিযান শুরু করে স্থানীয় জরুরি বিভাগ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে এবং পানিতে ডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জাহাজে অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত।উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চলাচলের অন্যতম মাধ্যম নৌযান। প্রায়ই এখানে ছোট-বড় জাহাজ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে সুমাত্রার এক জাহাজ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছিল ১৬৭ জনের। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ইরান-রাশিয়ার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হওয়ায় বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ। রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতা ‘শুধু ইসরাইলের জন্য নয়, ইউক্রেন, ইউরোপ এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করেছে’ বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
রাশিয়ান ভাষার আরটিভিআই চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে লাপিদ বলেন, ‘ইরান একটি বিপজ্জনক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং রাশিয়া যে এর সঙ্গে ব্যবসা করে তা পুরো বিশ্বকে বিপদে ফেলেছে।’ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর ইরানের তৈরি সামরিক ড্রোন ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন। তবে এটিও বলেছেন যে, সিরিয়ায় রাশিয়ার প্রভাবের ওপর নির্ভরশীল হয়ে তেল আবিব কিয়েভকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেবে না।