এখন তো টাকায় নয়, ঘুষ লেনদেন হয় ডলারে : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২২

সিলেট জেলা কারাগারে একই নামের একজনের পরিবর্তে অন্যজন চাকরি করছেন, এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এসময় রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, ‘এসব বিষয়ে তো দুদক ব্যবস্থা নিতে পারে। দুদক কি এগুলো দেখছে না? আপনারাই চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন।’তখন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এজন্যই তো আমরা এসেছি।’ আদালত আইনজীবীকে বলেন, ‘এখন আসছেন। ধরা খাওয়ার পরে…।’

এ সময় আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গণেশ যদি সব জায়গায় রাজত্ব করে, তাহলে তো হলো না। আর এখন তো টাকায় নয়, ঘুষ লেনদেন হয় ডলারের মাধ্যমে।’

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বাশার বলেন, ‘টেলিভিশনে প্রতিবেদন হয়েছে—সিলেট কারাগারে চাকরি না পেয়েও ২০০ কারারক্ষী কাজ করছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৮ জনকে পাওয়া গেছে যাদের চাকরি না হলেও কাজ করছেন। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুনানি হয়েছে।’

শুনানির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখা যায়, ঘুষ লেনদেনে বস্তায় বস্তায় টাকা লেনদেন হয়। তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এখন আর টাকায় নয়, ঘুষ নিচ্ছে ডলারে।’

Nagad

ছদ্মবেশ ধারণ ও বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম এবং সিলেটে ২০০ জন কারারক্ষী চাকরি করছেন বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমাণ পায়। এর মধ্যে তিনজনকে পাওয়া যায়, যারা একজনের পরিবর্তে আরেকজন চাকরি করছেন।