যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন: ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি এগিয়ে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এখন চলছে ভোট গণনা। তবে কয়েকটি আসনের ফলাফলও জানা গেছে। যেখা দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত এই মধ্যবর্তী নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (প্রতিনিধি পরিষদ) এবং সিনেটের পাশাপাশি কয়েক জায়গায় গর্ভনরের আসন দখলের লড়াই চলছে দেশটিতে। প্রাথমিক ফলাফল বলছে, এখন পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকানরা।

বেসরকারি হিসেব বলছে, কয়েকটি কেন্দ্রে পিছিয়ে আছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ১৭৯টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাটসরা পেয়েছে ৬৬টি আসন, আর রিপাবলিকানরা পেয়েছে ১১৩টি আসন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ২১৮টি আসনে জয় পেতে হবে। অন্যদিকে, অন্যদিকে উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১০০টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৫১টি আসনে জয় পেতে হবে।

এই নির্বাচনে ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই সরাসরি লড়ছেন না। লড়ছে তাদের দল। নির্বাচন হবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটের নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য।

প্রাথমিক জরিপ বলছে, নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের দুটি চেম্বারেই জয় পেতে পারে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসদাতারা বলছেন, নির্বাচনে ৪৩৫ আসনের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের প্রায় ২৫টি আসন বাড়তে পারে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রয়োজনীয় একটি আসনও জিতে নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে দু’জন সিনেটর থাকেন, যারা ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রিপ্রেজেন্টেটিভরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য এবং ছোট জেলাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন।

Nagad

বিগত দুই বছর ধরে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ডেমোক্রেটরা। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য যে কোনো আইন পাস করা সহজ হয়েছে। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে সেই সুযোগ আর থাকবে না ডেমোক্র্যাটদের। ফলে বাইডেন অনেকটা ‘নখদন্তহীন বাঘ’-এ পরিণত হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এছাড়া, এই ফলাফল ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারণার ক্ষেত্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করবে। বিশেষ করে, সেখানে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়।