আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২২

ভবিষ্যৎ মহামারি ঠেকাতে প্রস্তুতির এখনই সময়
করোনা মহামারি সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা দেখিয়ে দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। ভাইরাস–আতঙ্কে ঘর বন্ধ করে বসে থাকেন সারা বিশ্বের মানুষ। থমকে যায় গোটা বিশ্ব। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির এই সময়ে যা ছিল মানুষের কাছে অভাবনীয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসীকে যেন আর পড়তে না হয়, সে জন্য দরকার মহামারি প্রতিরোধের আগাম প্রস্তুতি। সে প্রস্তুতি কীভাবে নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর অনলাইনে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, একটি নতুন জীবাণু সংক্রমণের মাধ্যমে চীনে নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এখন কোভিড-১৯ নামে সবার কাছে পরিচিত এ রোগ চীনের ভেতরেই থাকছে বলে সে সময় মনে হয়েছিল। ওই বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ নাগাদ চীনে রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ জন। আর চীনের বাইরে এ রোগ ধরা পড়েছিল মাত্র ৪০ জনের। সে সময় বাকি বিশ্ব এ–সংক্রান্ত খবরগুলো দেখছিল, কিন্তু সামনে কী আসছে, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। সূত্র: প্রথম আলো

প্রকৃতির সঙ্গে ‘চুক্তি’র আহ্বান জাতিসংঘের

জাতিসংঘ প্রধান কানাডায় একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রকৃতিবিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনীতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘মানবজাতি গণপ্রাণ বিলুপ্তির অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। ’ বিশ্বের সরকারগুলো প্রকৃতির ক্ষতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একমত হওয়ার জন্য মন্ট্রিয়লে এ সম্মেলন করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘১০ লাখ প্রজাতিকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে ফেলা এই ধ্বংসের উৎসব বন্ধ করার সুযোগ আমাদের হাতে রয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তি করার সময় এসেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

আশঙ্কার চেয়েও বেশি সংকুচিত চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য

সংকোচনের মুখোমুখি হয়েছে চীনের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য। গত মাসে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পতনের হার অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চাহিদায় ধীরগতি, উৎপাদন খাতে কভিডজনিত প্রতিবন্ধকতা এবং আবাসন খাতে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। খবর রয়টার্স।গতকাল প্রকাশিত শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে চীনের রফতানি আয় ২৯ হাজার ৬১০ কোটি ডলারে নেমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম। রফতানিতে এ পতন অক্টোবরের দশমিক ৩ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। বিশ্লেষকরা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পতনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। গত মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সংকোচনের আশঙ্কা করেছিলেন।গত আগস্ট থেকেই দেশটির রফতানি ধীর হয়ে পড়েছে। কারণ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। আগামীতে রফতানি আরো সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জ্যেষ্ঠ চীনা অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভান্স-প্রিচার্ড একটি নোটে বলেন, কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে চীনা পণ্যের রফতানি সীমিত বাড়বে। এতে ক্রয়াদেশ অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর বেগ পেতে হবে না। তবে মহামারী যুগের চাহিদার পরিবর্তন এবং আসন্ন বৈশ্বিক মন্দার কারণে চীনা পণ্যের চাহিদায় বড় পতন হবে। গত মাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন কেন্দ্র জেংজো ও গুয়াংজুসহ অনেক চীনা শহরে কভিডজনিত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। নভেম্বরের পরিসংখ্যানে মূলত এ পদক্ষেপের প্রভাবটি প্রতিফলিত হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

উক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ‘পার্সন অভ দ্য ইয়ার’! শিরোপা ‘টাইম ম্যাগাজিন’-এর

Nagad

দাঁতে দাঁত চেপে লড়ছে তার দেশ। আর সেই লড়াইয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতিটি দিন নতুন করে যুদ্ধশাস্ত্রে শান দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বছরের গোড়ায় রুশ আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেন। তারপর থেকে অনবরত গোলা বর্ষণ আর রক্তপাত। তারও মাঝে দাপটে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনিই টাইম ম্যাগাজিনের তরফে ‘পার্সন অভ দ্য ইয়ার’ ঘোষিত হয়েছেন।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা করে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। তারপর থেকে ইউক্রেনজুড়ে অনবরত হত্যা, হামলা, বারুদের গন্ধ, রক্তের ছবি। তার মাঝেও লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন। পেয়েছে কিছুটা সাফল্যও।কূটনৈতিক আঙিনায় লড়ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। পাশে রয়েছেন সেদেশের সেনার। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

কোনও অবস্থাতেই পরমাণু যুদ্ধ নয়, পুতিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা

ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদি হবে এবং এই যুদ্ধের কারণে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা জানিয়েছে, বিশ্বে যেকোনও মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ ঠেকিয়ে রাখতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, “পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে যেকোনও হালকা কথাবার্তা আমাদের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।”প্রাইস বলেন, শীতল যুদ্ধের সময় থেকে চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও খোদ রাশিয়ার মতো পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলো একটি বিষয়ে একমত আর তা হলো ‘কোনও অবস্থাতেই পরমাণু যুদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না এবং সেরকম যুদ্ধে কোনও পক্ষই জয়ী হবে না।” সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

বাইডেন কি আবার লড়াইয়ে নামবেন

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন শেষ। এখন সবার নজর ২০২৪ সালে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হবে ওই বছর। অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সে নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রথা ভেঙে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনায় আছেন ফ্লোরিডার গভর্নর আরেক রিপাবলিকান রন ডিসান্টিসও। তবে ডেমোক্র্যাট শিবির এখনো নীরব। জো বাইডেনই প্রার্থী হবেন, নাকি নতুন কোনো মুখ হাজির হবে দৃশ্যপটে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে জো বাইডেনের হাবভাব বলছে, তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হতে চলেছেন। অবশ্য তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

যুদ্ধ-জুজুতে অস্ত্রে কাটতি

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) নতুন তথ্যে দেখা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সরবরাহ ব্যবস্থায় কিঞ্চিৎ ভাটা পড়লেও রমরমা হয়েছে অস্ত্র ব্যবসা। ২০২১ সালে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনকারী বিশ্বের ১০০ বড় কোম্পানির বিক্রি ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে। এই ১০০ প্রতিষ্ঠানের ৪০টিই যুক্তরাষ্ট্রের। অস্ত্র ব্যবসার অর্ধেকের বেশি তারা নিয়ন্ত্রণ করে। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে বৈধ অস্ত্র ব্যবসার মোট মূল্য ৫৯২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ২৯৯ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ১৫০ কোটি ডলার মূল্যের ১৮টি সিএইচ-৪৭এফ চিনুক পরিবহন হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। রিপাবলিক অব কোরিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থার (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রস্তাবিত এই হেলিকপ্টার বিক্রি আরওকের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতাকে উন্নত করবে।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর।

ছেলের হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড নিজ হাতে কার্যকর করলেন বাবা

আফগানিস্তানজুড়ে ফের কঠোর শরিয়াহ আইন প্রণয়নের নির্দেশ জারির এক মাসের মধ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মূলত অভিযুক্ত ব্যক্তি যাকে হত্যা করেছিল, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) তার বাবা অভিযুক্তকে নিজ হাতে গুলি করে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর তালেবানদের অধীনে এটিই প্রথম প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম তাজমির। তিনি পাঁচ বছর আগে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল দক্ষিণ-পশ্চিমের ফারাহ প্রদেশের একটি জনাকীর্ণ স্টেডিয়ামে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তালেবান সরকারের কয়েকজন শীর্ষ মন্ত্রীসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাও এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সমকাল

চলতি বছর ভারতে বজ্রপাতে ৯০৭ মৃত্যু
ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন দূষণকারী দেশ, তবে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এখানে মাথাপিছু নির্গমণের পরিমাণ কম।

চলতি বছর ভারতে দাবদাহ ও বজ্রপাতের মতো চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে এবং তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দেশটির সরকারের দেওয়া তথ্যে এমনটি দেখা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। ভারতের পার্লামেন্টে দেওয়া প্রতিবেদনে দেশটির ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দাবদাহের সংখ্যা প্রায় আট গুণ বেড়ে সবমিলিয়ে ২৭টিতে দাঁড়িয়েছে এবং বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে ১১১ গুণেরও বেশি আর এতে ৯০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রঝড়ের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে ২৪০টি হয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ