‘কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে ও বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২

ফাইল ছবি-

কৃষি আগে ছিল আমাদের খেয়েপরে বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন। এখন কিন্তু কৃষি সেখানে সীমাবদ্ধ নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি এখন অর্থকরী ফসল। কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়, সেই রপ্তানি বাড়াতে ও কৃষির বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, আগে কৃষি ছিল আমাদের খেয়ে-পরে বাঁচার অন্যতম অবলম্বন। কিন্তু এখন সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। কৃষিপণ্য এখন রপ্তানি হয়, সেই রপ্তানি বাড়াতে ও কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করলে সরকার থেকে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না।’

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এখন বীজ উদ্ভাবনের ফলে বছরে দুইবার উৎপাদন করতে পারি। পেঁয়াজ সংরক্ষণেও উদ্যোগ নিতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন শুকিয়ে ও গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করা যায়।’

বারোমাসি কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনের জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন উন্নত বিশ্বের মানুষ মাংস খেতে চায় না, তারা কাঁঠাল খায়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার ও কাবাব হয়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার মাংসের বার্গার বা রোলের চেয়ে দাম বেশি। এই ফলটির কিছু ফেলনা না, সবকিছুই কাজে লাগানো যায়।’

তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে বাইরে যান তাদের আমরা অর্থসহায়তা দিই। মন্ত্রণালয় থেকেও গবেষণার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়।

Nagad

গৃহপালিত পশু-পাখির যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে নানা সুযোগ আছে।