আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত ২০

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৩

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, কাবুলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে এই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।

রয়টার্স ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এদিকে এএফপি ড্রাইভার জামশেদ করিমি বলেছেন, আমি লোকটিকে নিজেকে উড়িয়ে দিতে দেখেছি। তবে আমি জানি না কতজন মারা গেছে বা আহত হয়েছে।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান, বিস্ফোরণের ফলে তাহতের ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তালেবান নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় পৌঁছেছে বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন তিনি।

আফগানিস্তানের টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে আহতদের জরুরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

টোলোনিউজের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কাবুলের কিছু বাসিন্দা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছেন, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের আত্মীয়দের খোঁজ করছেন।

Nagad

এদিকে, এই হামলার পিছনে কারা ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় বা এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।

তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোনো গোষ্ঠীও এর দায় স্বীকার করেনি।

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক হতাহত হয়েছে। বেশিরভাগ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।

তালেবান-চালিত পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্ররা হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবানরা। ক্ষমতায় আসার পর তালেবানের সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশটিতে প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত নভেম্বরেও, সামাঙ্গন প্রদেশের শহর আইবাকের একটি স্কুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছে । এছাড়াও সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যাতে অক্টোবরে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন কমপ্লেক্সে একটি মসজিদে চারজন নিহত হয়। এই হামলাগুলোর বেশিভাগের দায় স্বীকার করে তালেবানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস।