শ্বাসরোধে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতালক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সহিদ হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ে করা মামলায় স্ত্রী আমেনা বেগমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত আমেনা বেগম লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী গ্রামের মমিনুল হকের মেয়ে। তার স্বামী সহিদ হোসেনের বাড়িও একই এলাকায়।

মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে সহিদ জীবনের দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিলেন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালের ০৮ ডিসেম্বর দেশে চলে আসেন। এরপর থেকে আমেনার সাথে তার পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। ২০২১ সালের ২২ মার্চ রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমাতে যায়। পরদিন সকালে আমেনার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘরে ঢুকে সহিদকে মৃত দেখতে পায়। পরে স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গোসল করানোর সময় শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল আলী খোকন রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে। এতে সহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। পারিবারিক কলহের জেরে মুখ চেপে ধরে আমেনা সহিদকে হত্যা করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আমেনার বিরুদ্ধে রায় দেন।

Nagad

জানা গেছে, সহিদ জীবিত থাকা অবস্থায় তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। তার মৃত্যুর সময় আমেনা গর্ভবতী ছিলেন। পরে আমেনা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ১৬ মাস বয়সী মেয়ে ফাতেমা আক্তার মারিয়াকে নিয়েই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

সারাদিন/১৬ জানুয়ারি/এমবি