মাইগ্রেশনের দাবীতে আবারও সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
সাভারের আশুলিয়ায় মাইগ্রেশনের দাবী জানিয়ে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন যাত্রীসহ পরিবহনের চালকরা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টা থেকে সড়কের জামগড়াস্থ সরকার মার্কেট এলাকার নারী ও শিশু হাসপাতালের সামনে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা চলে গেলে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তারা মাইগ্রেশনের দাবী জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। এর আগেও ক্যাম্পাসে অবস্থান ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচী বাতিল করা হয়। এরপরেও নাইটিংগেল কলেজ কর্তৃপক্ষ মাইগ্রেশনের জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি। তাই একই দাবী জানিয়ে তারা পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরো জানান, নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের বিএমডিসির অনুমতি নেই। এজন্য তারা অন্যত্র মাইগ্রেশন করতে গেলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি রিট করে। ফলে তারা মাইগ্রেশন করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
কলেজটির শিক্ষার্থী ইমরান খান ইমন বলেন, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ মিথ্যা আশ্বাস ও আদালতের কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে ভর্তি করায়। প্রথম বর্ষে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন এনে দেবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন এনে দিতে পারেননি। কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন করে যাব। মাইগ্রেশন না দেওয়ায় ৪৫ জন শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই ঘন্টারমত মহাসড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত হয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে তারা চলে যায়। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
