নিজেকে স্মার্ট করে তোলার সহজ ৭ উপায়

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

অনেকে বিশ্বাস করেন তিনি বেশি বুদ্ধি রাখেন। তার চেয়ে স্মার্ট মনে হয় আর কেউ নেই। আবার পোশাক-আশাক, ফ্যাশনের ব্যপারে আপনি অনেক সচেতন, দেখতেও যথেষ্ট ভালো-তারপরেও অনেকে আপনাকে এড়িয়ে চলতে চায়, কিন্তু কেন? কখনো কি এমনটি আপনার মনে হয়নি; কেন এমন হচ্ছে।

আসলে স্মার্টনেস বা বুদ্ধিমত্তা মানুষের পরিবেশ, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য উৎস থেকে গড়ে ওঠে। তারপরও বিশেষজ্ঞরা চটজলদি নিজেকে স্মার্ট করে তুলে ধরার সহ ৭টি বৈজ্ঞানিক পন্থার খোঁজ দিয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমত, স্মার্টনেস মানেই দেখতে ভালো লাগা বা ট্রেন্ডি পোশাক পরা নয়। স্মার্টনেস হলো অভ্যন্তরীণ মানসিক ব্যাপার। আপনি যা, নিজেকে ঠিক সেভাবেই উপস্থাপন করা হলো স্মার্টনেস। ঠিক কীভাবে নিজেকে সবার কাছে উপস্থাপন করবেন তা যদি বুঝে উঠতে না পারেন, তাহলে নিজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আসুন। এক কথায় যদি বলি, স্মার্টনেস হল বুদ্ধিমত্তা ও প্রকাশভঙ্গী দুইয়ের সমন্বয়।

খুব সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন স্মার্টনেসের অধিকারী।

১ কথা বলুন বুঝেশুনে, সঠিক জায়গায় সঠিক কথা বলুন: আপনার কি অনেক কথা বলার অভ্যাস? তাহলে বাড়তি কথা বলা একটু কমিয়ে দিন। যতটুকু প্রয়োজন কথা ঠিক ততটুকু বলার অভ্যাস করুন। কখন, কোথায়, কী বলতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বলুন বুঝেশুনে এবং গুছিয়ে।আপনি কী বলতে চাইছেন তা যেন আপনার বক্তব্যে পরি’ষ্কার বোঝা যায়।

২) খাবার খান নিঃশব্দে আস্তে আস্তে: যারা শব্দ করে খাবার খান তাদের কেউ পছন্দ করে না। সকলেই তাদের দিকে বিরক্তির চোখে তাকায়। নিঃশব্দে খাবার অভ্যাস করুন। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান, এতে শব্দ কম হবে। খাবার সময় যতটা সম্ভব কম কথা বলুন।

Nagad

৩) পোশাক পরুন রুচিশীল: হালফ্যাশনের বা ট্রেন্ডি পোশাক পরা মানেই স্মা’র্ট (smart) হওয়া নয়।

৪) হালফ্যাশনের পোশাক নিয়ে দ্বিধা-দ্ব’ন্দ্ব থাকলে বেছে নিন ট্র্যাডিশনাল বা সব সময়েই যেসব পোশাকের চল থাকে, সেই পোশাকগুলো। যেমন শাড়ি, সাধারণ ছাঁটের সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, ফর্মাল শার্ট, প্যান্ট, স্ট্রেইট কাটের জিন্স, পোলো টিশার্ট ইত্যাদি।

৫) খাবার খাওয়ার রীতিনীতি: খাবার খাওয়ারও কিছু নিয়ম-কানুন আছে সেগুলো শিখে নিন। যেমন চামচ, কাঁটা চামচ, ছুরি ব্যবহারের নিয়ম, ন্যাপকিন ব্যবহারের নিয়ম, কোনটার পরে কী খেতে হয় ইত্যাদি। আপনার খাবার ধরণ আপনার স্মার্টনেস বাড়িয়ে তুলবে বহু গুণ।

৬) নূন্যতম সৌজন্যতাবোধ: সব জায়গাতেই কিছু ন্যূনতম সৌজন্যতা মেনে চলা উচিত।এতে যেমন বু’দ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় তেমনি স্মা’র্টনেসেরও পরিচয় পাওয়া যায়।

৭) হেসে হেসে সুন্দর করে কথা বলুন: হেসে, সুন্দর করে কথা বলাও স্মার্টনেসের পরিচায়ক। তাই বলে কথায় কথায় হো হো করে হাসবেন না যেন! এটাও শোভন নয়। স্মিতহাস্যে কথা বলুন সবার সাথে। মানুষটি যদি বিরক্তিকরও হয়, আপনার কথা শুনে সে যেন আপনার বিরক্তিটুকু ধরতে না পারে। মোট কথা, আপনার সাথে কথা বলে যেন কারো মনে না হয় আপনি রূঢ় আচরণ করছেন।

সর্বশেষ ভালো ব্যবহার করাটাও শিখতে হবে। যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে চলাটাই স্মার্টনেসের (smartness) অন্যতম পরিচায়ক।

সারাদিন. ২৩ জানুয়ারি