আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন: ধাক্কা খেল সিপিএম, প্রার্থী গেলেন বিজেপিতে

ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল রাজ্য সিপিএম। রাজ্যের কৈলাশহর আসনের সিপিএমের সাবেক বিধায়ক মবশ্বর আলী মনোনয়ন না পেয়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর বিজেপিও তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। যদিও এতে আইনি সমস্যা দেখিয়ে বাদ সেধেছে সিপিএম।
উত্তর–পূর্ব ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরা রাজ্যের ৬০ আসনের বিধানসভার নির্বাচন ১৬ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে বাম ফ্রন্ট জোট করেছে কংগ্রেসের সঙ্গে। আর সেই নির্বাচন ঘিরে এবার উত্তপ্ত হয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতি। ত্রিপুরা বিধান সভার সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে কৈলাশহর থেকে জিতেছিলেন বাম ফ্রন্টের শরিক দল সিপিএমের প্রার্থী মবশ্বর আলী। কিন্তু গত নির্বাচনে বিজেপি জেতায় মবশ্বর আলী বিরোধী দলে থেকে তাঁর রাজনীতি অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু এবার কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের নির্বাচনী জোট হওয়ায় কৈলা আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসকে। আর এতে অসন্তুষ্ট হন বাম বিধায়ক মবশ্বর আলী। তিনি রাগে ক্ষোভে অবশেষে দিল্লিতে গিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। বিজেপিও লুফে নেয় মবশ্বর আলীকে। সূত্র: প্রথম আলো

জাতিসংঘের বিশেষ দূত বললেন
নির্বাচন মিয়ানমারে সহিংসতা বাড়াবে

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা দেশটিতে সংঘাত আরো বাড়াবে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হেইজার গতকাল মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বর্তমান মিয়ানমার পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
২০২০ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় বসে মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এই বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে দেয় জান্তা। প্রায় দুই বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে থাকা দেশটিতে গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধারা সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে। প্রায় আড়াই হাজার মানুষের প্রণাহানি এবং বিপুলসংখ্যক মানুষকে কারাগারে নিক্ষেপ করার পর সামরিক জান্তা এখন নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এ অবস্থায় এক বিবৃতিতে নোলিন হেইজার বলেন, সামরিক সরকারের অধীনে যেকোনো নির্বাচন ‘আরো বড় আকারে সহিংসতা সৃষ্টি করবে এবং সংঘাত দীর্ঘায়িত করবে। গণতন্ত্রে ও স্থিতিশীলতায় ফিরে আসার পথ কঠিন করে তুলবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

আদানিকে টপকে ভারতীয় শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি

গৌতম আদানিকে টপকে ভারতীয় শীর্ষ ধনী এখন মুকেশ আম্বানি। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় ভারতীয় ধনীদের মধ্যে আজ বুধবার তিনি সবার ওপরে আছেন। খবর- হিন্দুস্তান টাইমসের। -সূত্র: সমকাল

Nagad

করবান্ধব সিঙ্গাপুরে ঝুঁকছে চীনা ধনীরা

করবান্ধব ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হওয়ায় অতিধনীদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য সিঙ্গাপুর। ২০২১ সালের পর থেকে দেশটিতে সম্পদের অন্তঃপ্রবাহ বেড়েছে। সে সময় সিঙ্গাপুরই প্রথম এশিয়ান শহর হিসেবে কভিড-১৯ মহামারীর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। এছাড়া দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যে কঠোর বিধিনিষেধ ছিল তা দেশটির অনেক অতিধনী বাসিন্দাদের মোহ ভেঙে দেয়। এর পরই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। খবর রয়টার্স।
ঠিক যেমনটা ঘটেছিল চীনের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী জাইন ঝ্যাংয়ের সঙ্গে। অন্য অনেক ধনী চীনাদের মতো তিনিও ভেবেছিলেন সিঙ্গাপুরই হতে পারে পারিবারিক সম্পদ রাখার সবচেয়ে আদর্শ জায়গা। এশিয়ার এ অর্থনৈতিক কেন্দ্রের কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারলেই সেখানে তিনি স্থায়ীভাবে বাসিন্দা হতে পারবেন। ফলে ২৬ বছর বয়সী এ তরুণের লেখা বই যখন পরিচিতি পেল, দেখা গেল তার স্ত্রী ৫০-৭০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলারে একটি পেন্টহাউজ খুঁজছেন। সূত্র: বণিক বার্তা।

ব্যাংকে বড় লকারের চাহিদা বাড়ছে
মজুদ হচ্ছে ডলার, স্বর্ণসহ মূল্যবান পণ্য

গ্রাহকরা ব্যাংকের লকার ভাড়া নেন মূলত মূল্যবান দলিল, কাগজপত্র, অলংকারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংরক্ষণের জন্য। এতদিন দেশের ব্যাংকগুলোয় ছোট ও মাঝারি লকারের চাহিদা ছিল বেশি। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এর বিপরীত চিত্র। গ্রাহকরা এখন ব্যাংকে গিয়ে বড় লকার ভাড়া নিতে চাচ্ছেন। অনেকে ছোট লকার ছেড়ে দিয়ে জিনিসপত্র স্থানান্তর করছেন বড় লকারে। বর্ধিত এ চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে গ্রাহকদের প্রয়োজনমতো লকার সরবরাহ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এ অবস্থায় কোনো কোনো ব্যাংক নতুন করে লকারের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এমনকি কোনো কোনোটি ছোট লকার কেটে বড় লকারেও রূপান্তর করছে।ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরা, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ব্যাংকের শাখাগুলোয় এখন বড় লকারের চাহিদা বাড়ছে। একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে দেশের বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয়ও। পরিস্থিতি সামাল দিতে লকার সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে ব্যাংকগুলো। এর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে সেবাটির চার্জ বা ফিও। ভাড়া নেয়া লকারে রাখা পণ্যের যাবতীয় দায়দায়িত্ব গ্রাহকের। সেখানে গ্রাহকরা কী রাখছেন, ব্যাংকের পক্ষে সেটি দেখা বা যাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি লকারের চাবির দুটি অংশ থাকে। একটি অংশ থাকে গ্রাহকের কাছে, বাকি অংশ থাকে ব্যাংকে। লকার খুলতে হলে চাবির দুটি অংশেরই প্রয়োজন হয়। গ্রাহক ব্যাংকে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাবির দুটি অংশের সমন্বয়ে লকারের তালা খুলে দেন। গ্রাহক লকার ব্যবহারের সময় সেখানে কারো উপস্থিত থাকার সুযোগ থাকে না। সূত্র: বণিক বার্তা।

সেনা অভ্যুত্থানের দুই বছর আজ
আতঙ্কে মিয়ানমার

দুই বছর আগে ঠিক এই দিনে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয় মিয়ানমারে। ভোট কারচুপির বাহানা তুলে দেশ দখল করে নেয় সামরিক জান্তারা। আটক করা হয় নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিসহ দেশটির প্রেসিডেন্ট ও জনগণ নির্বাচিত সব নেতাকে। ওই দিন থেকেই শুরু হয় মার্শাল ল। তবে এ বছর শেষ হবে জরুরি অবস্থা-পুনরায় দেশে ফিরবে নির্বাচন। যদিও তাতে আমেজ নেই, আছে শুধু ভয়। কেননা নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে সামরিক জান্তারাও। এতে রক্তের বন্যা আবারও বইতে পারে দেশটিতে। পিছিয়ে নেই বিদ্রোহীরাও। শক্ত হাতে মোকাবিলার জন্য দিন দিন ঢাল হয়ে উঠছেন তারা। বিগত ২০২০ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু চির দল। ভোটারদের জালিয়াতির অভিযোগ টেনে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের আগে অভিযান চালিয়ে সব নেতাকে বন্দি করে ক্ষমতা খাবলে নেয় জান্তা সরকার। যদিও তাদের দাবি আদৌ প্রমাণিত হয়নি। আগস্টে পুনরায় হতে পারে মিয়ানমারের নির্বাচন। পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার। এদিকে এমন পরিস্থিতেই নির্বাচন হলে সেখানে দেখা যাবে ভোট জালিয়াতি। জান্তারা যেভাবেই হোক পুনরায় ক্ষমতা দখল করবেন। তার পরিণতি হিসাবে আরও রক্তক্ষরণ দেখার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মতে, জান্তারা বেসামরিকদের ওপর বোমা বিস্ফরণসহ নানাভাবে হামলা চালিয়েছে যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। ইয়াঙ্গুনের এক বিদ্রোহী কর্মচারী (সাবেক সরকারি চাকরিজীবী) বলেন, জান্তা আয়োজিত নির্বাচন হচ্ছে, ‘এক চাকাওয়ালা গাড়ির মতোন। এতে যেকোনো রকমের অগ্রগতি হবে না, তা আর বলার অবকাশ নেই।’ থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে, বিদ্রোহী দল ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’য়ের সদস্য লিন লিন জানান, মিয়ানমারের রাজনীতি থেকে জান্তাদের বিতাড়িত করার অভিযানে নির্বাচন কোনো প্রভাব ফেলবে না। নির্বাচিত সরকার না পাওয়া অবধি আমরা আমাদের অস্ত্র সু-উচ্চ রাখব। সূত্র: যুগান্তর।

আদানিকে কাঁপিয়ে দেওয়া কে এই অ্যান্ডারসন?

আদানি গ্রুপ বনাম হিন্ডেনবার্গ গবেষণা নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যম জুড়েই চলছে আলোড়ন। আমেরিকার লগ্নি-সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হলো ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। কোনো সংস্থার শেয়ার বিক্রিতে গলদ রয়েছে কি না, কিংবা বাজার থেকে সংস্থাগুলো যে ঋণ নিচ্ছে তাতে স্বচ্ছতা বজায় রয়েছে কি না, এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে দেখে এই সংস্থা।‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক পাস করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা শেষের পর ‘ফ্যাক্টসেট রিসার্চ সিস্টেমস আইএনসি’ নামে এক সংস্থায় কর্মজীবন শুরু করেন অ্যান্ডারসন। তবে আর্থিক সংস্থায় পা রাখার আগে ইসরায়েলে অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবেও কাজ করেছেন অ্যান্ডারসন। এই হিন্ডেনবার্গ সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পায় ২০২০ সালে। ওই সময় ইলেকট্রিক ট্রাক প্রস্তুতকারক নিকোলা কর্পের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য। একই বছরের জুন মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে নিকোলা। ফোর্ড মোটরকে ছাড়িয়ে কিছুদিন পরই কোম্পানির বাজারমূল্য ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের পর বর্তমানে কোম্পানির মূল্য মাত্র ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ভারতের আমজনতার কাছে আদানি কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?

ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ নামে একটি মার্কিন সংস্থা শেয়ার বাজারে ব্যাপক অনিয়ম ও হিসেবে কারচুপির যেসব অভিযোগ এনেছে তা খন্ডন করতে আদানি গ্রুপের দেওয়া বক্তব্যের চেয়েও, তারা যেভাবে সেটি উপস্থাপন করেছে সেটিই ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আদানি শিল্পগোষ্ঠীর চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) যুগশিনদার সিং ভারতের একটি বিশাল তেরঙ্গা জাতীয় পতাকাকে পেছনে রেখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ওই বিবৃতিটি দিয়েছেন। আর্থিক বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করে যে ব্লুমবার্গ, তাদের ভাষায় “তাঁকে দেখে একটি কোনঠাসা ও অভিযুক্ত একটি কোম্পানির কর্মকর্তা মনে হচ্ছিল না, বরং মনে হচ্ছিল ভারত সরকারের তরফেই কেউ যেন বক্তব্য পেশ করছেন।”ওই ভিডিও-বিবৃতির মধ্যে দিয়ে আদানি গ্রুপ যে বার্তা দিয়েছিল সেটাও পরিষ্কার : একটি বিদেশি সংস্থা (‘ফরেন এনটিটি’) যদি আদানিকে আক্রমণ করে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা ভারতকেই নিশানা করতে চাইছে। আসলে গত কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা ও আদানি শিল্পগোষ্ঠীর প্রসার যেরকম সমার্থক হয়ে উঠেছে, তার ভিত্তিতেই তারা এতটা জোরের সঙ্গে এই দাবিটা করতে পারছে।এর পাশাপাশি এই তথ্যও ক্রমশ প্রকাশ পেয়েছে যে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থাগুলোরও আদানি শিল্পগোষ্ঠীতে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং বৃহত্তম বিমা সংস্থা লাইফ ইনশিওরেন্স কর্পোরেশন (এলআইসি) এই তালিকায় অগ্রগণ্য। এসবিআই ও এলআইসিতে অ্যাকাউন্ট বা পলিসি নেই, ভারতে এমন পরিবার কার্যত নেই বললেই চলে।সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

নতুন সামরিক সহায়তায় ইউক্রেইনকে ‘দূরপাল্লার অস্ত্র দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’

যুক্তরাষ্ট্র আসছে দিনগুলোতে ইউক্রেইনকে নানান অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রসহ ২০০ কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত দুই মার্কিন কর্মকর্তা।ওয়াশিংটনের নতুন এ সহায়তায় প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার রকেট থাকছে, থাকছে প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার সরঞ্জাম, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এমন গোলা এবং ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র জ্যাভেলিনও, মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তারা এমনটাই বলেছেন। এই প্যাকেজের বড় একটি অংশ, প্রায় ১৭২ কোটি ৫০ লাখই আসছে ইউক্রেইন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিসিয়েটিভ (ইউএসএআই) থেকে, এই তহবিলের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন মার্কিন সামরিক বাহিনীর মজুদে হাত না দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অস্ত্র কিনতে পারছেন, বলেছেন এক কর্মকর্তা। সূত্র: বিডি নিউজ