পিকে হালদারের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ১ মার্চ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ০১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন জবানবন্দি দেন।

এদিন কারাগারে আটক চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ০১ মার্চ তার সাক্ষ্য এবং জেরার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলাটিতে মোট ১০৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কারাগার থেকে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন- অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এছাড়া পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।

Nagad

এছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

২০২০ সালের ০৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পিকে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এই সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এই সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিকে হালদারের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পিকে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানি হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন করেছেন। যার দাম ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরীবাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। নিজের কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন আটতলা হোটেল (র‌্যাডিসন নামে পরিচিত)। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এছাড়া পিকে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি, এর বর্তমান দাম ১৬৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডিয়ান ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পিকে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে এক কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকারও বেশি।

সারাদিন/০১ ফেব্রুয়ারি/এমবি