চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ বিআইডিএস’র, দেশে জনসংখ্যা বাড়ল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি-

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। এর আগে সাময়িক হিসাবে যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। দেখা যায়, চূড়ান্ত ফলাফলে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৬২ জন।

আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে বিআইডিএস চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

গত বছরের ২৭ জুলাই বিবিএসের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে জনসংখ্যা ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৬১ জন বেড়েছে। অর্থাৎ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ হয়েছে।

সেসময় প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।

২০০১ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে গড় জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জন। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে জনশুমারির তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫ শতাংশ পর্যন্ত আন্ডার কাউন্ট গ্রহণযোগ্য। তাই বিবিএসের জনশুমারি সঠিক বলে ধরা যায়।

Nagad