সড়কের কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩

ওবায়দুল কাদের

সড়কের কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ফোরলেন সড়ক নির্মাণে কোয়ালিটি (মান) ঠিক হচ্ছে না। ফোরলেন দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে, এই ফোর লেন করে লাভ কী? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। এজন্য আবার আলাদা প্রকল্প নিতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা? এই ফোর লেন দিয়ে কী হবে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ক প্যাকেজ-৩ এর চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন করে কোনো প্রকল্প নয়, যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে শেষ করতে হবে। যেনতেন ভাবে কোনো কাজ করা যাবে না। প্রতিটাই কাজই হতে হবে মানসম্মত। মানসম্মতভাবে কাজ না হলে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই নতুন কাজ নয়, মানসম্মত কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের কাজের মতো কাজ করতে হবে। কোয়ালিটির বিষয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে। আমাদের রাস্তুাগুলোকে রক্ষা করতে হবে। ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন হওয়ার কথা। কিন্তু এটা কবে হবে কেউ জানে না।

তিনি বলেন, এজন্য এডিবিকে বারবার ঋণ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। সিলেট আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কানেকটিভিটি। অনেক চেষ্টার সবুজ ফসল ঢাকা-সিলেট ছয় লেন। সিলেটের মানুষ আজ সব থেকে বেশি খুশি হবে কারণ ছয় লেন কাজ হচ্ছে।

খানাখন্দের ভোগান্তির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, ফোর লেন সড়ক নির্মাণে কোয়ালিটি (মান) ঠিক হচ্ছে না। ফোর লেন দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। আমাদের এই ফোর লেন করে লাভ কী? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। এজন্য আবার আলাদা প্রকল্প নিতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা? এই ফোর লেন দিয়ে কী হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-সিলেট ফোরলেন সড়কে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরমধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এডিবি আর সরকার মিলে কাজটা করা হবে। ভালো ঠিকাদার এই কাজ পেয়েছে আশা করি সময়মতো শেষ করবে।

Nagad

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল রওশন আরা মান্নান এমপি, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, প্রকল্পের পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজুলল করিম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক উপস্থিত ছিলেন।

প্যাকেজ-৩ এর লট ৬ এর আওতায় বুধন্তি বাস স্ট্যান্ড থেকে এস এম স্পিনিং মিল পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১ ফ্রেক্সিবল পেভমেন্ট কাজ করা হবে। এর চুক্তি মূল্য এক হাজার ৮৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কাজটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে পিডিএল ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান। এই লটে ১৫৫ মিটারের ২৫টি কালভার্ট, ৩৪৭ দশমিক ৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যের সাতটি সেতু, ৩ দশমিক ৮৮৩ কিলোমিটার ড্রেন, এক হাজার ১২০ বর্গ মিটারের বাস বে ও সার্ভিস লেনের রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এই প্যাকেজর আওতায়।