তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ১৫ হাজার ছাড়াল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপ।- সংগৃহীত ছবি

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯১ জনে। আর সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে দুই হাজার ৯৯২ জন। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

এদিকে অনেক তুর্কি নাগরিক পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও সহায়তার অভাবের অভিযোগ করে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া জীবিত ব্যক্তিরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করে কান্না করছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীর অভাবে তাদের ‍উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে সরকারের সাড়াদান নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজ সরকার সমর্থন করে তিনি বলেন, পর পর যে ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্প ঘটেছে, তাতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়াদান খুব একটা সহজ ছিল না।

আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, তার দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য দুটি অতিরিক্ত সীমান্ত গেট খুলে দিতে কাজ করছে।

Nagad

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, সোমবারের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া ও তুরস্কে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে আগামী মার্চে একটি সম্মেলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গত ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জ জানায়, ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে এটি পাঁচ দিন বন্ধ থাকছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে কাতার সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘরসহ ত্রাণসামগ্রী, পর্যাপ্ত পরিমাণ তাঁবু ও শীতবস্ত্রও পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।