ধামরাইয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

সাভার প্রতিনিধি:সাভার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩

ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির পথযাত্রা কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করার সময় যুগান্তরের ধামরাই প্রতিনিধি সাংবাদিক শামীম খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কর্মরত পত্রিকার আইডি কার্ড (সাংবাদিক পরিচয় পত্র) সহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক শামীম খান ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামার পাড়া গ্রামের মৃত জহির রায়হান খানের ছেলে। বর্তমানে সে ধামরাই পৌরসভার মডেল টাউন এলাকায় বসবাস করেন।

জানা যায়, ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা ভাতিজা বক্কর ২০২২ সালে এক কিশোর-কিশোরীকে আটকে চাঁদাবাজি করার ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে ৬ মাস কারাগারে ছিল। তাছাড়া বর্তমানে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের একাধিক জায়গায় সে অবৈধভাবে মাটির লিক পরিচালনা করছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে তার একটি লিকে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে খনন যন্ত্রসহ অনেক জিনিসপত্র জব্দ করে। এর জের ধরে তার ওপরে হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে ওই সাংবাদিকের ছেলে ইমরান খান বলেন, গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা এক মহিলা মেম্বার পার্থীকে ধর্ষণ করেছিলো। সেই সংবাদ সহ দূর্গা পুজার অনুষ্ঠানে ধর্ষিতা ওই নারী চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। এছাড়াও কাদের মোল্লা চেয়ারম্যানের একাধিক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যার ফলে আজ আমার আব্বুকে ওই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চেয়ারম্যানের ভাতিজা সহ ১০-১২জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা বলেন, আমি ওইখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি শুনেছি ওইখানে আওয়ামিলীগ-বিএনপির মিছিল মুখোমুখি হয়ে গেছিলো। হয়তো সেইসময় ঘটনাটা ঘটছে। আর ওনার সাথে আমার কোনো পূর্ব শত্রুতা নাই।

Nagad

এবিষয়ে কথা বলতে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।