ভূমিকম্প: সিরিয়া-তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আহত লাখেরও বেশি মানুষ। তুরস্ক আধুনিক যুগের সবচেয়ে খারাপ দুর্যোগটি মোকাবিলার চেষ্টা করছে, তবে সিরিয়ার ভূমিকম্পপীড়িত ভূক্তভোগীদের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছেই। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা তৈরি না করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের উপর এখনও চাপ সৃষ্টি করছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। লাখেরও বেশি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পটিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীসহ বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি কর্মী মাঠে কাজ করছে। অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও জীবিত প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের ১৩ দিন পরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬৪২ জনে আর প্রতিবেশি সিরিয়ায় মারা গেছেন ৫ হাজার ৮০০ জন। যদিও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যাটি কয়েকদিন আগের আর তা পরিবর্তন হচ্ছে না।

অন্যদিকে, তুরস্কে এখনও চলছে উদ্ধার তৎপরতা। গতকাল শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কিরগিজস্তান থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মী দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আনতাকিয়া শহরের বিধ্বস্ত ভবনের আবর্জনার ভেতর আটকে পড়া একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তারা একটি শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বাবা, মা বেঁচে গেলেও দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। পানিশূন্যতায় মারা যায় ওই দুই শিশু।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সেজার বলেন, রোববার রাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে।

Nagad

এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভূমিকম্পের ফলে আশ্রয়হীন মানুষগুলোর স্বাস্থ্যগত সংকট বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। শনিবার তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন যদিও শ্বাসকষ্টসহ দুর্গত এলাকার মানুষগুলোর শারীরিক জটিলতা বেড়েছে, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি নয়।
অপরদিকে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এখনো নিখোঁজ স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করছেন। যদি তারা ‘অলৌকিকভাবে’ বেঁচে যান সে আশায়। ভবন নির্মাণে মানা হয়নি বিল্ডিং কোড, এমন অভিযোগ করছেন তারা। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এসব এলাকায়। যদিও তুরস্কের সরকার ভবন ধসের ঘটনা তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। কারও গাফিলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানিয়েছে তারা।