আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩

বারবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ফুলপরী ও তাঁর বাবা

বুধবার বেলা তিনটা! আইন বিভাগের এক শিক্ষকের কক্ষে ঢুলছিলেন ভ্যানচালক আতাউর রহমান। তিনি কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগ নেত্রীদের নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুনের বাবা। দরজায় শব্দ শুনে আতাউর উঠে পড়েন। তিনি বলেন, রাতে ঘুম হয় না। আবার কষ্ট করে ক্যাম্পাসে আসতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এ জন্য একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।এ সময় সামনের কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রেবা মণ্ডলের কক্ষে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, তাবাসসুমসহ পাঁচজনের মুখোমুখি বসে ছিলেন ফুলপরী। তদন্ত কমিটির সদস্যরাও সেই কক্ষে ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকে আবার হলে এলেন নির্যাতিত ছাত্রী ফুলপরীকুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে কথা বলছেন ফুলপরীকথা প্রসঙ্গে ফুলপরীর বাবা বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অবধি আসার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, তাঁর ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার গিয়ে চরসাদীপুর এলাকায় আসেন। সেখানে নৌকায় এক ঘণ্টায় পদ্মা নদী পাড়ি দেন। এরপর ইজিবাইকে শিলাইদহ খেয়াঘাট থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আলাউদ্দিন নগর এলাকায় যান। সেখানে আরেকটি ইজিবাইকে ১০ কিলোমিটার গিয়ে কুষ্টিয়া শহরে চৌড়হাস পৌঁছান। সেখান থেকে বাসে করে ২৫ কিলোমিটার দূরে ক্যাম্পাসে যান। সূত্র: প্রথম আলো

অর্থসংকটের মুখে পাকিস্তানের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের খরচে কাঁচি

কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের ভাতা ও ভ্রমণ ব্যয় কাটছাঁট করছে দেশটির সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ শরিফ বলেন, তাঁর সরকার কৃচ্ছ্রসাধন অভিযানের মাধ্যমে বার্ষিক ২০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় করতে চায়।পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটি ইতিমধ্যে ঋণখেলাপি, দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ক্রমশ কমছে। এই মজুত এখন ৩০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। এই মজুত দিয়ে এক মাসের বেশি আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সূত্র: প্রথম আলো

এইচএসসি পাস ছাড়া সভাপতির পদ নয়
প্রাথমিকের পর অবশেষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ করছে সরকার। এক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যক্তিকে ন্যূনতম এইচএসসি পাস হতে হবে।এ ছাড়া সরকারি আমলারাও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনাপত্তি সনদ নিয়ে সভাপতি হওয়ার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে এমন বিধান রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৩। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হতে হলে একজন ব্যক্তিকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হয়। কিন্তু বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার জন্য এতদিন পর্যন্ত কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল না। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

সংকট সমাধানে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর

Nagad

দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ১০ শতাংশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এ লক্ষ্য অর্জনে সৌরশক্তি সর্বাধিক কাজে লাগানোকে প্রধান হিসেবে ধরা হয়েছিল। ২০২১ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা থাকলেও মূলত জমির স্বল্পতার কারণে তা সফল হয়নি। তবে লক্ষ্য অর্জনে কাজ চলছে।বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। আর বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪ শতাংশের কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচলিত উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা। এই তিনটিই হচ্ছে জীবশ্ম জ্বালানি। এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। তাই বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পুরো বিশ্বই এখন বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।দেশেও বিদ্যুত্সংকট মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিলেও এখনো তেমন সাফল্য আসেনি। জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি ও গবেষণা শাখা পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের বাস্তবতায় আমাদের মূল অগ্রাধিকার সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো। এতে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো জমির স্বল্পতা, অন্যটি হলো পর্যাপ্ত সূর্যের আলো। দিনের বেলা সূর্যের তাপে সোলার থেকে বিদ্যুৎ পেলেও রাতের বেলা বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টি মাথায় নিয়েই আমরা কাজ করছি।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

ফুরিয়ে আসছে শেভরনের মজুদ, রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানিগুলো প্রস্তুত কি?

স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক গ্যাস যুক্ত হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন (২২০ কোটি) ঘনফুট। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মিলিয়ন (১৩০ কোটি) ঘনফুটের কিছু বেশি সরবরাহ হচ্ছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্র থেকে, যা মোট স্থানীয় সরবরাহের ৬০ শতাংশের বেশি। বহুজাতিক কোম্পানিটি পরিচালিত তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে এখন মজুদ নেমে এসেছে ৪৭৬ বিলিয়ন (৪৭ হাজার ৬০০ কোটি) ঘনফুটে।সরবরাহ বর্তমান মাত্রায় চালু থাকলে আগামী দুই-তিন বছর পেরোনোর আগেই শেভরনের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মজুদ ফুরিয়ে আসার কথা। বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলছে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষকদের। শেভরনের ক্ষেত্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ হলে এ ঘাটতি পূরণের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আদৌ প্রস্তুত কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে স্থানীয় সরবরাহের অর্ধেকেরও বেশি আসছে শেভরনের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে। বাড়তি সরবরাহের কারণে তাদের মজুদও কমে এসেছে। দেশে গ্যাস মজুদের অর্ধেকেরও বেশি আছে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর পরিচালনাধীন গ্যাসক্ষেত্রে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো সরবরাহ সেভাবে বাড়াতে পারেনি। দেশে গ্যাসের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এখনই স্থানীয় সরবরাহের বিকল্প চ্যানেল বা সরবরাহ লাইন তৈরি করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে গ্যাস খাত। সূত্র: বণিক বার্তা।

ব্যবসায়ীরা জ্বালানি সাশ্রয়ে আগ্রহী, বাধা তিতাস

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে জ্বালানি সংকট ও ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ উদ্যোক্তাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা ধরে রাখার একটি উপায় হতে পারে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে টাকা বাঁচানো। কিন্তু সংযোগ সমস্যা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জ্বালানি সাশ্রয়েও বিনিয়োগ করতে পারছেন না। টেক্সটাইল ও অ্যাকসেসরিজ খাতের একজন উদ্যোক্তার নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, দুই বছর আগে তিনি দুটি জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর কিনেছিলেন। প্রতিটি জেনারেটরের দাম ৫ কোটি টাকা। একটি ব্যাংকের মাধ্যমে জেনারেটরগুলো কেনার অর্থ জোগাড় করেন ওই উদ্যোক্তা। কিন্তু ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও এখনও প্রয়োজনীয় সংযোগ নিতে পারেননি তিনি। নতুন জেনারেটরগুলো একই পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে আগের জেনারেটরগুলোর তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি শক্তি উৎপাদন করবে (১,০৫০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে ১,৪০০ কিলোওয়াট ঘণ্টার বেশি)। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার জ্বালানি খরচ কমে আসবে।জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর ব্যবহার করে অর্থও বাঁচানোর একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর ব্যবহার করছেন। গ্যাসের চাপ কম থাকায় যে উৎপাদন ক্ষতি হতো, তা থেকে তাকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে এই জেনারেটর। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

দলবিচ্ছিন্ন খালেদা জিয়া
♦ নেতা-কর্মীরা চান বিদেশে চিকিৎসা, দলের সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে, চলে স্কাইপে মিটিং ♦ আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও মূল দল থেকে আলাদা অবস্থান নেই কারও

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলীয় রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। দলের কোনো সিদ্ধান্তে তিনি অংশ নেন না। সাক্ষাৎ দেন না নেতা-কর্মীদের। বিএনপির সব সিদ্ধান্তই এখন আসে লন্ডন থেকে। প্রতি সপ্তাহে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমান। অন্যদিকে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। মামলাগুলো আইনগতভাবে মোকাবিলা চলছে। দলের কোনো বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করেন না। এ নিয়ে কিছু নেতা তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো উৎসাহ প্রকাশ করছেন না। খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থান নিয়েও দলের ভিতরে-বাইরে আলোচনা আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি সঠিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে তিনি জানান। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না’ আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্য সংবিধানবিরোধী। তিনি বলেন, তথাকথিত বিচারে বেগম জিয়ার সাজার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন এবং জামিনযোগ্য। আইনমন্ত্রী এমন বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। বেগম জিয়া সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলে কোনো নেতৃত্বের শূন্যতা নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করেছেন। আন্দোলন গতিশীল করেছেন। বিএনপির আন্দোলন দেখে ক্ষমতাসীন সরকার শঙ্কিত। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারসহ নানা দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দোহাই দিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বেসরকারি মেডিকেল: কেবল পড়ার খরচই ২৬ লাখ
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে ফি বাড়ানোর ফলে শুধু পড়ার খরচই পড়বে ২৬ লাখ টাকার কাছাকাছি। এর আগে এটা ছিল প্রায় ২৩ লাখের কাছাকাছি। তবে এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আনুষঙ্গিক অন্যসব খরচ হিসাব করা হয়নি। হঠাৎ করেই বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি ও টিউশন ফি বাড়ানোকে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকরা যৌক্তিক বলে দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা সেটা মানতে নারাজ। তারা বলছেন, ফি বাড়ানোর ফলে যারা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় না, তাদের জন্য এই অতিরিক্ত ভর্তি ফি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে এবং তারা আগ্রহ হারাবে।গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএসে ভর্তি ফি বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে এবার ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর আগে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপনের তথ্যমতে এতদিন পর্যন্ত ভর্তি ফি ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। গতবারের তুলনায় এবার ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। আর তারও আগে ২০১৪ সাল থেকে ভর্তি ফি ছিল ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে কেন বড় দলগুলো কাছে পেতে চায়?

বাংলাদেশের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে অংশ নেয়া সত্তরটির মতো ইসলামপন্থী দলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ছিলো দশটি। এর মধ্যে ছয়টি ছিলো আওয়ামী লীগের সাথে আর দুটি ছিলো বিএনপি জোটের সাথে।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেও নানা ধরণের তৎপরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে ইসলামপন্থী ছোট-বড় বিভিন্ন দলকে ঘিরে। যদিও ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে জামায়াত ছাড়া আর কেউই স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেনি এবং প্রধান দুই দলকে ঘিরেই তাদের রাজনীতি ঘুরপাক খেতে দেখা যায়।আর বড় দুটি দলের নেতাদের কথা থেকে বোঝা যায় যে ইসলামপন্থী দলগুলো জোটে থাকলে সেটি এক ধরণের স্বস্তি হিসেবে কাজ করে নির্বাচনের মাঠে।নির্বাচন এলেই ইসলামপন্থী দলগুলোকে নিজেদের দিকে রাখার জন্য নানা তৎপরতা দেখা যায় এবং এমনকি কিছু ইসলামপন্থী দল নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সরকারের আনুকূল্য পেয়ে আসছে বলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

সন্তান বড় হয় মামলা শেষ হয় না

মিরপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে রাজশাহীর এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে হয় ২০১১ সালে। তাদের এক কন্যাসন্তান। টানাপড়েনের জেরে ২০১৮ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সন্তানের অভিভাবকত্ব ও হেফাজতের অধিকার পেতে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন শিশুর মা।
মামলার সময় শিশুর বয়স ছিল পাঁচ বছর। একই দাবিতে শিশুর বাবা ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর রাজশাহী পারিবারিক আদালতে পাল্টা মামলা করেন। বাবা-মায়ের মামলার জেরে বিপাকে পড়ে ওই শিশু। আদালত সন্তানকে বাবার হেফাজতে দিলেও মায়ের সান্নিধ্য পাওয়ার এবং সন্তানকে দেখভাল করার আদেশও ছিল। সন্তানকে একান্তে পাওয়ার জন্য ২০২১ সালের মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন মা। হাইকোর্ট ঢাকার মামলাটি অবিলম্বে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে বাবার পক্ষের আইনজীবীরা ঢাকার মামলা রাজশাহীতে বদলি চেয়ে রিট করলে গত বছর মার্চে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে বদলি প্রশ্নে রুল দেয় হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, রুলটি এখনো বিচারাধীন। এর মধ্যে শিশুটির বয়স হয়েছে আট বছর। সূত্র: দেশ রুপান্তর