‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ছিল একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- বলেছেন, ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ছিল একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র। এদের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। ভয়াবহ একটি চক্রান্ত, একটি ষড়যন্ত্র এ দেশের বিরুদ্ধে, এই জাতির স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি।’

আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটি দিন। এই দিনে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে তাদের পরিবার-পরিজনসহ হত্যা করা হয়। সৃষ্টি করা হয় ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব।’

‘বিডিআর বিদ্রোহের দিন খালেদা জিয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা দায়িত্বহীন একটি মন্তব্য। একেবারে ডাইভারশন করা। বড় একটি ঘটনা যেখানে সমস্ত জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে যার সম্বন্ধে এসব বলা হচ্ছে তিনি দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের জন্য সারা জীবন কাজ করছেন। এখনো গণতন্ত্রের জন্য কারা অন্তরীণ রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ছিলেন। উনারা (আওয়ামী লীগ) মূল সমস্যায় না গিয়ে অন্যদিকে যেতে চান। কারণ এই ঘটনাগুলো সে সময় সমাধান করতে পারেনি।’

সেনা কর্মকর্তারা আমাদের দেশের সম্পদ ছিলেন-জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া চাইছি তিনি যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন। এ ছাড়া অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর কর্মকর্তা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতিও আমরা গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

Nagad

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ফখরুল আজম, রিয়ার এডমিরাল মুস্তাফিজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম, কর্নেল ফয়সাল, কর্নেল জয়নুল আবেদীন, লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. হানিফ, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) কোহিনূর আলম নূর, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ।