আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কারিগরি দলের গাফিলতিতে বৃত্তি পরীক্ষার ফলে ভুল

একই দিনে দুপুরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সন্ধ্যায় তা স্থগিত করার পর প্রশ্ন উঠেছে, কেন এবং কাদের কারণে শিশুদের এই পরীক্ষা নিয়ে এত বড় ভুলের ঘটনা ঘটল। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ফলাফল তৈরির সঙ্গে যুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কারিগরি দলের ভুলের কারণে মূলত এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ‘দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের’ জন্য এখন হাজারো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। কিন্তু ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণ দেখিয়ে একই দিন সন্ধ্যায় এ ফল স্থগিত করার কথা জানায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।কীভাবে ভুলটি হয়েছে, তার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, ফল তৈরির সঙ্গে যুক্ত কারিগরি দল ভুলটি করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছর ধরে না–হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের মতো করে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল তৈরি করতে গিয়েই সমস্যাটি হয়েছে। ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতো উপজেলাভিত্তিক। সূত্র: প্রথম আলো

নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা এবং বর্তমান সরকারের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। মিঠামইনের প্রত্যন্ত হাওরে রাষ্ট্রপতির নামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস’ উদ্বোধন উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। হাওরের মানুষও সব সময় নৌকায় ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় হাওরেরও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।’ এ সময় তিনি হাওরের বোরো ফসল সংরক্ষণে আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। মিঠামইন সদরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে জাতীয় চার নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আলহাজ মো. জিল্লুর রহমানের ভূমিকা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষকে বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও এই কিশোরগঞ্জেরই। কিশোরগঞ্জই বারবার রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশের জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অবদান রয়েছে। তাই তাঁর ইচ্ছায় তাঁর নামেই সেনানিবাস করেছি।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত
গত এক যুগে পেছনের অন্যতম দুই কারিগর

গত বছরের মে মাসে জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক অর্ডার অব দ্য রাইজিং সানে ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা পান তিনি।বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব থাকাকালে ২০১০ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত জাপান-বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের (পিপিইডি) কো-চেয়ার ছিলেন। মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআইডিআই) গঠনের সময় এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. আবুল কালাম আজাদ। সেখানে তিনি জাপানি বিনিয়োগে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে এমআইডিআইয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে বড় ভূমিকা রাখেন। তবে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে গত বছরের জুনে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থায়ন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় জাপান। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আরেকটি বৈদ্যুতিক শক

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিইউনিট বিদ্যুতের দাম আরো ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ টাকা ২৫ পয়সা করেছে সরকার। এতে মূল্যস্ফীতির এই সময়ে আরো হতাশাই বাড়লো জনতার। কারণ, চলতি বছরেই এনিয়ে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।এতে আবাসিক গ্রাহক, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আরো চাপের মধ্যে পড়লো, যখন সবাই কৃচ্ছ্রসাধনের চেষ্টা করছে।গত দুই মাসে এনিয়ে তৃতীয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো; এতে যেসব বাসাবাড়িতে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তাদের মাসিক বিল বাড়বে ১৮২ টাকা। যেসব আবাসিক গ্রাহক ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এটা হবে ২৮৫ টাকা। তবে একটি প্রক্ষেপণ অনুসারে, এই দাম বাড়ানোয় বছরে ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আয় হবে সরকারের।জানুয়ারির আগে প্রতিকিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে গড় দাম ছিল ৭ টাকা ১৩ পয়সা, যা এখন পৌঁছাল ৮ টাকা ২৫ পয়সায়।মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে, নতুন দাম আজ ১ মার্চ থেকেই কার্যকর হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ইবির পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কারের নির্দেশ হাইকোর্টের

কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ ছাত্রীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ মার্চ) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদেশে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ছাত্রীকে আগামী তিন দিনের মধ্যে যে কোনো হলে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ওই ছাত্রী তার পছন্দমতো যে কোনো সিট বাছাই করতে পারবেন। একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী কোনো একামেডিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।এর আগে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ অন্তত ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। ঘটনার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলম, হাউস টিউটর মৌমিতা আক্তার, ইশরাত জাহানসহ কয়েকজনের দায়িত্বে চরম অবহেলা রয়েছে বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া প্রক্টর শাহাদাত হোসেনের র্কমকাণ্ড উদাসীন ও দায়সারা গোছের।বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় করা পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় আদালতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। প্রাথমিক শুনানির পর আজ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়। সূত্র: সমকাল

হরিলুটের সোলার এখন গলার কাঁটা

২০১০ সালে বিদ্যুৎ নিয়ে টানাপোড়েনের সময় থেকে নতুন সংযোগ পেতে বহুতল ভবনে বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করা সোলার প্যানেল (সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জাম) এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যানেল থেকে গ্রাহক কোনো বিদ্যুৎ তো পায়ই না, অন্যদিকে প্যানেল পরিদর্শনের নামে চলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের চাঁদাবাজি। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ মহল লাভবান হতে এ যন্ত্রণা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রাহকের ঘাড়ে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ১২ বছরে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে আনা এসব নামসর্বস্ব সোলার প্যানেলের বড় অংশই এখন অকেজো। ২০ বছর মেয়াদি এসব ব্যয়বহুল সোলার প্যানেল টিকছে না এক বছরও। বর্জ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ভাঙারির দোকানে। ছাদের ওপর শোপিস হিসেবে থাকা সোলার প্যানেলে শুকানো হচ্ছে কাপড়। ভবন মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, সোলার প্যানেল বাধ্যতামূলক করায় মূলত এ প্রযু্িক্ত আমদানির সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যবসায়ী আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। কিনতে হয় কর্তৃপক্ষের পছন্দের কোম্পানি থেকে। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের কোনো লাভ হয়নি, উল্টো সাধারণ মানুষের হয়রানি বেড়েছে। আছে হুমকি-ধমকিও। রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি ছয় তলা ভবনের কেয়ারটেকার তোফায়েল বলেন, ৪ লাখ টাকা খরচ করে সোলার প্যানেল বসানোর মাস ছয়েক পর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। আর ঠিক করা হয়নি। আশপাশের বেশির ভাগ ভবনে কোনো সোলার প্যানেলই নেই। ভাটারার একটি বাড়ির মালিক শেখ হাতিম বলেন, ঋণ করে ভবন বানানোর পর ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করতে হয় সোলার প্যানেল বসাতে। না হলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় না। পরিচিতদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, অনেকে সোলার প্যানেল ভাড়ায় আনেন। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর ফেরত ফিরিয়ে দেন। সত্যি সত্যি প্যানেল বসালেও বছর না ঘুরতেই নানা ত্রুটি দেখা দেয়। জ্বলে না কোনো বাতি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা পর্যবেক্ষণে এলে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। পুরোটাই অপচয়। কারও সৌরবিদ্যুৎ প্রয়োজন হলে তিনি তো নিজ ইচ্ছাতেই লাগাবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

অর্থনীতিতে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব
ফের ৫ শতাংশ বাড়ল বিদ্যুতের দাম
সঠিকভাবে ঋণ ব্যবস্থাপনা করা এবং দুর্নীতি কমালে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না -মির্জ্জা আজিজ

ফের বাড়ল খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। এবার বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে চলতি বছরে দুই মাসের ব্যবধানে তিন দফায় ১৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়াল সরকার। এভাবে দাম বাড়ানোর ঘটনা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগেও নির্বাহী আদেশে দুই দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। বর্ধিত এই দাম আজ থেকে কার্যকর হবে।গত ৩১ জানুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগ পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রসঙ্গত, বিইআরসি গত বছরের ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ায়। তখন ইউনিটপ্রতি ৫.১৭ টাকা থেকে এক লাফে গড়ে ১৯.৯২ শতাংশ বাড়িয়ে ৬.২০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছিল।জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এই দাম বৃদ্ধির ফলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সূত্র: যুগান্তর

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট জীবনে আবার ঘা

দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় গতকাল রাতে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর কারণে দৈনন্দিন ব্যয় আরও বাড়বে। তবে বাড়তি দাম দিয়েও সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে গতকাল মঙ্গলবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা চলতি মাস থেকে কার্যকর হবে। এর আগে একই কায়দায় গত ৩০ জানুয়ারি রাতে খুচরা ও পাইকারি বিদ্যুতের দাম যথাক্রমে ৫ ও ৮ শতাংশ বাড়ানো হয়।ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী আদেশে গত দুই মাসে গ্রাহক পর্যায়ে তিন দফায় বিদ্যুতের দাম অন্তত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করেছে দুবার। গত জানুয়ারিতে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক হারে ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।সব মিলিয়ে গত ১৪ বছরে এ নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ১৩ বার এবং পাইকারি পর্যায়ে ১০ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। এত ঘন ঘন নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দুটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

কুষ্টিয়ার প্রতিবাদী যে ফুলপরী সাহসিকতার উদাহরণ তৈরি করেছে

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে চান না। কিন্তু কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন একজন শিক্ষার্থী, যা সারাদেশে আলোড়ন তৈরি করেছে। ‘’আমি যেটা করেছি, সেটা আমার কর্তব্য মনে করেই করেছি। কেন আমার সাথে এমন অন্যায় হলো, আমি তো কোনো অপরাধ করি নাই। তাই কোনো অন্যায়, অবিচারও আমি মুখ বুজে সহ্য করার কথা ভাবি নাই। আমি জানি আমি যেরকম সাধারণ, ওরাও সেরকম সাধারণ। আমি নতুন হতে পারি, কিন্তু ওনাদের দেখে কেন ভয় পাবো?’’বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন।সম্প্রতি তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একটি আবাসিক হলে ওঠায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হন। সেই ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে, আশা মন্ত্রীর

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধনের পর ট্রেনের টিকেট বিক্রির নতুন পদ্ধতি উদ্বোধন করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নতুন নিয়মে টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদী। নতুন এ পদ্ধতি চালু হওয়ায় রেলের টিকেট কাটতে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর তা নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকেট কিনতে হবে। একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকেট কেটে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে, আশা মন্ত্রীরবুধবার সকালে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে এনআইডির মাধ্যমে টিকেট বিক্রির প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পাশাপাশি আন্তঃনগর ট্রেনে টিকেটবিহীন যাত্রীদের টিকেট কাটার জন্য ভ্রাম্যমাণ টিকেট পরীক্ষকদের হাতে পস মেশিন তুলে দেন।রেলমন্ত্রী বলেন, “শুরুতে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে এই প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ধীরে ধীরে সকল লোকাল ট্রেনেও এ সেবা চালু করা হবে৷” সূত্র: বিডি নিউজ