‘আশা করি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, উপস্থিতি যথার্থ হবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৩

ভোটার দিবস উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে সিইসির নেতৃত্বে র‍্যালি । ছবি: সংগৃহীত। সংগৃহীত ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা যেটা অনুমান করেছি, বাস্তবতার নিরিখে, ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে কারণ সেখানে সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। আপনারা ইউনিয়ন কাউন্সিলর ভোট দেখেছেন সেখানে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল এবং ইভিএমে হয়েছে। ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। আমরা আশা করি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেখানে উপস্থিতি যথার্থ হবে। জেলা পরিষদে আমাদের উপস্থিতি ছিল ৯৯ শতাংশ, সেখানে ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে ভোট হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমরা বারবার আবেদন করে বলেন, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ, নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’

সব দলকে ভোটে আসার আহ্বানের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা ভদ্রভাবে, বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে একধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, আমরা বিনীতভাবে সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভারসাম্য সৃষ্টি করুন। যাতে এ ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

নিজেদের মেয়াদে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও সন্তোষজনক ছিল বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে ‘যথেষ্ট’ ভোটার উপস্থিতি থাকবে বলে আশা রাখেন তিনি।

Nagad

ভোটার দিবসের এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ভোটার দিবস উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি র‍্যালি বের হয়। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যোগ দেন। এদিন পঞ্চমবারের মতো সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘ভোটার হবো নিয়ম মেনে, ভোট দেব যোগ্যজনে’।