আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৩

নওগাঁয় নিপাহ ভাইরাসে শ্বশুরের পর মারা গেলেন পুত্রবধূ

নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে নওগাঁর মান্দায় আবদুল হক (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ২২ দিন পর তাঁর পুত্রবধূ ফরিদা বেগম একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ফরিদার শাশুড়ি রহিমা বেগম (৬০) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।ফরিদা বেগম মান্দা উপজেলার চকচোঁয়ার গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত তাঁর শ্বশুর আবদুল হককে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।স্থানীয় বাসিন্দা ও মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ফরিদা বেগম জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। উপসর্গগুলো সন্দেহজনক হওয়ায় ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গত মঙ্গলবার একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ফরিদার শাশুড়ি রহিমা বেগম হাসপাতালে ভর্তি হন।নাটোরের বিভিন্ন সড়কের পাশে প্রকাশ্যে খেজুরের কাঁচারস বেচাকেনা চলছে। আজ সকালে বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা এলাকায়স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদার স্বামী আবদুল খালেক বসতবাড়ির পাশের দুটি খেজুর গাছ থেকে শীতের শুরু থেকেই রস সংগ্রহ করেন। সেই রস তাঁরা পরিবারের লোকজন পান করতেন। সেখান থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। সূত্র: প্রথম আলো

অনুষদ-বিভাগ ঘাটতি নিয়েই চলছে পাঠদান

আইন অনুযায়ী ন্যূনতম তিনটি অনুষদ ও ছয়টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আইনে থাকলেও তা বাস্তবায়ন না করেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেশের ১৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। শর্ত পূরণ না করেই পাঠদান শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশোনার মান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৮তম প্রতিবেদনে অনুষদ ও বিভাগের ঘাটতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষদ ও বিভাগে ঘাটতি রয়েছে। বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ছয়টি বিভাগ নেই। এই অবস্থায়ও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ২০ বছর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইউজিসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অন্তত তিনটি অনুষদ ও ছয়টি বিভাগ না থাকলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায় না। অনুমোদনের সময় ন্যূনতমসংখ্যক অনুষদ ও বিভাগের শর্ত পূরণ না করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলে তখন থেকেই এই শর্ত পূরণ করতে হবে। কিন্তু ইউজিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০০১ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। প্রায় ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভাগসংখ্যা মাত্র পাঁচ। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার ১৮ বছর পরও দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিভাগের সংখ্যা পাঁচ। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী
প্রাথমিকের সংশোধিত ফল ২৯ ঘণ্টা পর
ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ ডিপিই’র * অভিন্ন কোড নম্বরেই বিভ্রান্তি * বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে অভিভাবক শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন -রাশেদা কে চৌধুরী

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার পুনঃযাচাই করা ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া ১০টার পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় ৪ ঘণ্টার মাথায় বিকাল ৫টা ২ মিনিটে তা স্থগিত করা হয়।এরপর প্রথমে আগের তৈরিকৃত ফল ফেলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন করে গোটা ফল তৈরি করা হয়। এ কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটে) একজন অধ্যাপক উপস্থিত থেকে সহায়তা করেন। সংশোধিত ফল প্রকাশ করে ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে ফলাফল পুনঃযাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্থগিত করা হয়। পুনঃযাচাই শেষে স্থগিত করা ফল প্রকাশ করা হলো। এ অনিচ্ছকৃত ত্রুটির জন্য ডিপিই দুঃখ প্রকাশ করছে। এদিকে কোমলমতি শিশুদের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এভাবে তা বাতিলের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজর কেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেরও। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

তালিকা হচ্ছে এলাকাবিচ্ছিন্ন এমপিদের
এমনও আছেন চার বছরের বেশি সময় ধরে নির্বাচনী এলাকায় যাননি, অনেকের সাক্ষাৎ পান না ভোটাররা, কারও কারও বাড়ির দরজা থাকে বন্ধ, হতাশা মাঠের কর্মীদের

টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে হার্ডলাইনে হাঁটছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তালিকা করছেন এলাকাবিচ্ছিন্ন এমপিদের। প্রতি ছয় মাস পর পর জরিপ করছেন সরকারপ্রধান। বিভিন্ন সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম এ জরিপ করছে। এসব জরিপের ভিত্তিতেই মিলবে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন। বর্তমান সংসদে থাকা অনেক হেভিওয়েট এমপি-মন্ত্রী এ তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিগত যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে- এমন কথা দলীয় ফোরাম ও সংসদীয় দলের সভায় এমপি-নেতাদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় এমপিদের এলাকামুখী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন প্রচারে জোর দিয়েছেন তিনি। বেশির ভাগ এমপি সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন। বিগত কয়েকটি জরিপে অনেক এমপির বিরুদ্ধে ভয়াবহ তথ্য এসেছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করতে গিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপির কর্মকাণ্ডে বিস্মিত স্বয়ং দলীয় প্রধান। গত চার বছরে এক দিনের জন্যও এলাকায় যাননি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এমন তথ্যও পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে এমপি-মন্ত্রীদের সাক্ষাৎ পান না। কারও কারও বাড়ির দরজা থাকে বন্ধ। এতে হতাশ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই নৌকা নিয়ে এমপি হয়ে আর এলাকায় পা রাখেননি। কেউ কেউ বছরে একবার-দুবার গেলেও সরকারি প্রোগ্রাম শেষ করে ওইদিনই ঢাকায় চলে আসেন। দলীয় কার্যালয়ে পা রাখেননি কখনো। তারা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলেন। তাদের ধারণা, নৌকা হলেই পাস করা যায়। দলীয় নেতা-কর্মীর প্রয়োজন পড়ে না। সে কারণে এলাকায় কোনো যোগাযোগ রাখেন না। অনেকেই নিজ এলাকার নেতা-কর্মীদের দম্ভোক্তি করে বলেন, আমার এমপি হওয়ার পেছনে ‘তোমাদের’ (তৃণমূল নেতা-কর্মী) অবদান কী? সে কারণে ফোন ধরার প্রয়োজনবোধও করেন না অনেকে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

লিজ ফাঁদে ‘ডানাভাঙা’ বিমান

লিজে নেওয়া দুটি এয়ারক্রাফট গত বছর কিনতে বাধ্য হয় বিমান। নানা কৌশলে ‘রদ্দি মাল’ দুটি গছিয়ে দেওয়া হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতে একই প্রক্রিয়ায় বহরের জন্য অনুপযুক্ত আরও একটি এয়ারক্রাফট গছানোর ‘ধান্দা’ শুরু করেছে একটি চক্র। যদিও বিমানের ‘হাই অফিশিয়াল’ এ চক্রের ফাঁদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই এয়ারক্রাফট লিজ প্রক্রিয়ায় যেন বাণিজ্যিক মধ্যস্থতা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। থমে লিজের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। আর অনানুষ্ঠানিকভাবে তা কিনে নেওয়ার মুলা ঝোলানো হয়েছে। গত বছর যেহেতু লিজে নেওয়া এয়ারক্রাফট কিনে নিয়েছে এবারও কিনবে বা লিজের মেয়াদ বাড়াবে বিমানএমন ছক থেকেই দাবার বোর্ডের ঘুঁটি চালাচালির মতো ফাইল চালাচালি শুরু হয়েছে।কিন্তু বিমানের শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, কেনা তো নয়ই, এই এয়ারক্রাফটের লিজের মেয়াদও বাড়ানো ঠিক হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে এই এয়ারক্রাফট লিজে নেওয়া অন্য এয়ারক্রাফটের মতো বিমানের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে। আর ভবিষ্যতে লিজ থেকেও বের হয়ে আসতে হবে বিমানকে। বিমানবহরে বর্তমানে ২১টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে ড্যাশ-৮ মডেলের রয়েছে ৪টি। ড্যাশগুলোর মধ্যে এমএসএন ৪২০৮ এস২-এজেডব্লিউ মডেলের এয়ারক্রাফটির লিজের মেয়াদ আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এয়ারক্রাফটটি নোরডিক এভিয়েশন থেকে মাসে ১ লাখ ২৬ হাজার ডলারে ৫ বছরের জন্য ড্রাই লিজে আনা হয়। ড্রাই লিজের শর্ত অনুযায়ী, এয়ারক্রাফট যে অবস্থায় আনা হয়, সেই অবস্থায় ফেরত দিতে হবে; অর্থাৎ এয়ারক্রাফটির ইঞ্জিন, বডিসহ সবকিছুই লিজ নেওয়ার প্রথম দিনের মতো বা অবস্থায় থাকতে হবে। নোরডিক হচ্ছে বিশে^র অন্যতম নামকরা এয়ারক্রাফট লিজিং কোম্পানি। বিশ্বখ্যাত অনেকগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি রয়েছে নোরডিকের। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক এই কোম্পানি থেকে এর আগেও এয়ারক্রাফট লিজ নিয়েছে বিমান। সেই সব লিজের পরিণতিও ভালো হয়নি। সূত্র: দেশ রুপান্তর

মুডি’স এর সতর্কবার্তা: ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে বৈদেশিক বাণিজ্য- বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে মুডি’স এর সতর্কবার্তার ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণগ্রহণের খরচ ও পুঁজিবাজারে প্রবেশের ক্ষমতা প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।”দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে মুডি’স এর দৃষ্টিভঙ্গি অবনমন হওয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে,” দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেন, “এর ফলে বাংলাদেশের সুনাম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং ব্যয়বহুল হবে, যার ফলে দাম বেড়ে যাবে।”তিনি আরো উল্লেখ করেন, পাকিস্তানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিংয়ের খরচ বাংলাদেশের তুলনায় কম।এবিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ঋণ প্রদান সীমিত করেছে।সংস্কারের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাবের কারণে এই অবনমন ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সাড়ে সাত শতাংশ কমিয়ে এডিপি সংশোধন
বিপদ আসতে পারে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ডলার সংকটে ব্যয় সাশ্রয় ও সরকারি খরচ সংকোচনের নীতি সামনে রেখে এবার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকার। অর্থবছরের সাত মাস পর তা ৭ শতাংশ কাটছাঁট করে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকায় নেমেছে সংশোধিত এডিপি। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) গতকালের সভায় সংশোধিত এ এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসির চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামনে বিপদ আসতে পারে, তাই সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। সংশোধিত এডিপির বিস্তারিত তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘চলিত অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সাশ্রয় গ্রহণের বিষয়টি সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভিত্তিক সংশোধন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সংশোধিত এডিপিতে সরকারের বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পগুলো মিলে ১ হাজার ৬২৭টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ হাজার ৫২৫টিতে ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্প সাহায্য অংশ ৯৩ হাজার কোটি থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা কমে ৭৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হয়েছে। তবে দেশীয় অর্থায়নের অংশ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকাই থাকছে। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে কিছু প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোর অর্থায়ন যোগ করলে এডিপির মোট আকার দাঁড়ায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

দুই মাসে বিদ্যুতের দাম তৃতীয় দফা বাড়িয়েও কি লোডশেডিং থেকে মুক্তি মিলবে?
বাংলাদেশে এক বছরের মতো তৃতীয় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি মাসে মাসে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের যে নীতি নেয়া হয়েছে, তারই আওতায় দুই মাসের মধ্যে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। কিন্তু বাড়তি দাম দেয়ার পরেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সোমা সাহার মতো অনেক সাধারণ বাসিন্দা।ঢাকার ধানমন্ডির এই বাসিন্দা বলছেন, ‘’সব জিনিসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম আবার বাড়িয়েছে সরকার। সংসারের খরচ তো বাড়বেই, দেখা যাবে বাজারে জিনিসপত্রের দামও আরেকবার বেড়েছে। কিন্তু তারপরেও শান্তি পেতাম, যদি বিদ্যুৎ ঠিক মতো থাকে। গত বছর গরমের সময় তো অনেক কষ্ট পেয়েছি, এবার কি ঠিক মতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে?’’তার মতো আশঙ্কা রয়েছে বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং বিশ্লেষকদের মধ্যেও।পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি ডি রহমতউল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’গরমের সময় লোডশেডিং এবারও হবে। তার কারণ হলো, এটার পেছনে যেসব প্রধান সমস্যা, তা তো দূর হয়নি। জ্বালানি সংকট তো থেকেই যাচ্ছে।‘’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।

৪৮১৯ কোটি টাকা শোধের শর্তে ৩৩৫৯ কোটি মাফ

আগামী জুনের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের শর্তে ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া বহুল আলোচিত এননট্যাক্স গ্রুপকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবতে বসা এই প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা বদলের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা রহস্যজনক কারণে থমকে গেছে। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা ছিল দায়দেনাসহ প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প গ্রুপ এস আলম কিনে নেবে। কিন্তু দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার এননট্যাক্স এবং এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, আপাতত হাতবদল প্রক্রিয়া থমকে গেছে। এই বিপুল অঙ্কের সুদ মওকুফ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান গতকাল বুধবার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নিয়মনীতি অনুসরণ করে গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংকের ৭৪৬তম বোর্ড সভায় এননট্যাক্সের সুদ মওকুফ করা হয়েছে। বাকি অর্থ পরিশোধ করতে জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। জুনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে পারলে তাকে দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের আলোকে এই সুদ মওকুফ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

মতপার্থক্য নিরসন করে ভোটে আসুন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ, নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’্আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সব দলকে ভোটে আসার আহ্বানের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা ভদ্রভাবে, বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে একধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।’ সূত্র: সমকাল