আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৩

সেন্ট মার্টিনকে মেরে ফেলা হচ্ছে
পরিবেশ অধিদপ্তর ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিনকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে।
৩৮ বছরের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রবাল প্রজাতি ১৪১টি থেকে কমে ৪০টিতে নেমেছে। কমেছে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা।
দ্বীপটিতে স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ। তবে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ হয়েছে ২৩০টির বেশি। দুই বছরে তৈরি হয়েছে ১৩০টি।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে জাহাজ থামানোর ঘাট বা জেটি তৈরি হয়েছে দ্বীপটির পূর্ব পাশে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জেটি থেকে কিছু দূরের পশ্চিম সৈকতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে তিনতলার তিনটি ভবন নিয়ে গড়ে উঠেছে আটলান্টিক রিসোর্ট নামের একটি স্থাপনা। দুটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত নভেম্বরে। একটি ভবনের নির্মাণকাজ এখনো চলছে। সেন্ট মার্টিনে পর্যটন মৌসুমে দিনে পাঁচ হাজারের মতো পর্যটক যায়। বেশির ভাগ সেখানে রাতযাপন করে-সেন্ট মার্টিনে পর্যটন মৌসুমে দিনে পাঁচ হাজারের মতো পর্যটক যায়। বেশির ভাগ সেখানে রাতযাপন করে-আটলান্টিক রিসোর্টের আঙিনায় দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, সেখানে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে যে দেশের ১৩টি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) একটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। মানে হলো, এ দ্বীপের পানি, মাটি, বায়ু বা প্রাণীর ক্ষতি করে, এমন কোনো কাজ সেখানে করা যাবে না। এ কারণে সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণে ছাড়পত্র দেয় না পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু আটলান্টিক রিসোর্টটি ছাড়পত্র ছাড়া সবার সামনেই নির্মিত হয়েছে।
এটা কীভাবে সম্ভব হলো, জানতে চাইলে আটলান্টিক রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সোলেমান প্রথম আলোকে বলেন, দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ৪০টির বেশি বহুতল ভবনের (দুই ও তিনতলা) হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে। সেগুলো যেভাবে নির্মিত হয়েছে, আটলান্টিক রিসোর্টও সেভাবেই হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

সরকারি পরিবহন সেবা
কর্মীদের বাসসংকট, কর্তাদের পার্কিং

প্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রায় সব সরকারি কর্মকর্তা সুদমুক্ত ঋণের টাকায় গাড়ি পেয়েছেন। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁরা মাসে ৩০ হাজার টাকাও পাচ্ছেন। তবে এসব গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই সচিবালয়ে। ফলে সচিবালয় উপচে গাড়ি চলে আসছে রাস্তায়। সরকারি কর্মচারীরা আছেন পরিবহনসংকটে। সারা দেশে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের (বিকেকেবি) বাস আছে মাত্র ৩৩টি, মিনিবাস ১৩টি। এসব বাসের আসনসংখ্যা দুই হাজার ১০৬। এ ছাড়া বিআরটিসি থেকে ভাড়া করা ৪২টি বাসে দুই হাজার ৫১৫টি সিট আছে। মোট চার হাজার ৬২১টি সিটে যাতায়াতকারী কর্মচারীর সংখ্যা সাত হাজার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ কর্মচারী যাতায়াত করছেন গণপরিবহনে। যানজটসহ নানা কারণে কর্মচারীদের বড় একটি অংশ নির্ধারিত সময়ে অফিসে উপস্থিত হতে পারছে না। বাড়ি ফেরার সময়ও পোহাতে হয় দুর্ভোগ।বিকেকেবি সূত্রে জানা যায়, অফিসে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ১৯৭৪ সালে স্টাফ বাস কর্মসূচি চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুসারে স্টাফ বাস আর কেনা হয়নি। কর্মচারীদের চাপে বিআরটিসি থেকে কয়েকটি গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সূত্র; কালের কণ্ঠ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

কথা ছিল, ২০১৪ সাল থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) দিয়ে চলবে গাড়ি। নানা বিপত্তিতে ৯ বছর পরও সেই উড়াল সড়কের কাজ শেষ হয়নি। কাজ করতে গিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে অন্য উন্নয়ন প্রকল্পের ঝঞ্ঝাট লেগেই আছে।
২০২৩ সালের মার্চে এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-বনানী অংশ চালু হবে; সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিকবার এ ঘোষণা দিলেও কাটছে না প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা। ফলে ধীরগতিতে চলা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগতে পারে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর যতটুকু জমি দিয়েছে, তাতে মহাখালীর র‍্যাম্পে ওজন ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ের বিনিয়োগকারী। মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ (দক্ষিণ) লাইনের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের অ্যালাইনমেন্ট সাংঘর্ষিক। কারওয়ান বাজার এলাকায় প্রয়োজন হবে গভীর খননে। এ জন্য রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে তিন মাস। এ কাজে ৬ মিলিয়ন ডলার এবং ২৩৮ দিন বাড়তি সময় চায় এক্সপ্রেসওয়ের বিনিয়োগকারী। সূত্র: সমকাল

Nagad

হঠাৎ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার শীর্ষ গন্তব্য আবুধাবি-দুবাই
গোটা বিশ্বেই উচ্চশিক্ষায় বিদেশযাত্রার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি বাংলাদেশেও। যদিও হঠাৎ করেই বাংলাদেশীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার শীর্ষ গন্তব্য হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত কিউএস র্যাংকিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান ১৫০-এরও পরে। তার পরও গত বছর বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশিসংখ্যকই গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবি ও দুবাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য নিয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)। সংস্থাটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ইউএই। ২০২২ সালে ১১ হাজার ১৫৭ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন আবুধাবি ও দুবাইসহ ইউএইর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। সে হিসেবে গত বছর বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া মোট শিক্ষার্থীর ২২ শতাংশই গেছেন ইউএইতে। যদিও এর আগে কখনই বিদেশে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশীদের গন্তব্য হিসেবে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায়ও ছিল না দেশটি।ইউএইর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিপ্রণেতা ও মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান কমিশন ফর একাডেমিক অ্যাক্রেডিটেশন (সিএএ)। সিএএর তথ্যমতে, বতর্মানে দেশটিতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭০টি। এর মধ্যে সিংহভাগই আবুধাবি ও দুবাইয়ে। শারজাসহ অন্যান্য শহর বা অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। র্যাংকিং বা শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনেক বাংলাদেশীই আবুধাবি-দুবাইয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু ও সম্প্রসারণ করেছেন। গড়ে তুলেছেন প্রপার্টি। তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যই সেখানে বসবাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন রেখে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন অন্তত ৪৫৯ বাংলাদেশী। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। আবার অনেকে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করে ইউএইর গোল্ডেন ভিসা নিয়েছেন। সূত্র: বণিক বার্তা।

গম আমদানি নিয়ে আপাতত স্বস্তি, তবে খরা ও তাপপ্রবাহে ভবিষ্যৎ শঙ্কায়

ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আরো ৬০ দিন বৃদ্ধির ঘটনা বাংলাদেশের মতোন নেট খাদ্য আমদানিকারক দেশের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়েছে। কারণ প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রকোপে দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে এমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সেজন্য এখনই নিরাপদ মজুত গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। কৃষ্ণসাগর দিয়ে রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ পূর্ণ সদ্ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমদানিকারকরা। যেহেতু, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশের গম ক্রয় প্রায় একতৃতীয়াংশ কমে গেছে।তবে উদ্বেগ লাঘব হওয়া মানেই তা পুরোপুরি দূর হয়েছে এমনটা নয়। এই মওসুমের জন্য ভারতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে খরা প্রবণতা অব্যাহত থাকায় – চীন, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে – বড় আঘাত আসতে পারে গম উৎপাদনে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এক নম্বরেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র : হাস

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে আছে এবং ভবিষ্যতেও এ স্থান ধরে রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) ৫৮৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন, ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, চেয়ারম্যান মো. নূর আলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন মোল্লা এবং যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) গ্যাস পাওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা। গতকাল সকালে পিটার হাস হেলিকপ্টারে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছালে তাকে প্রকল্প ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি সর্বশেষ অবস্থা বর্ণনা করা হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সব আইন মেনে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে আন্তর্জাতিক উচ্চমান বজায় রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন এবং উন্নত জীবিকা নিশ্চিতের জন্য জীবিকা পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা: ছোট ঘটনা বড় হচ্ছে রাজনৈতিক ইন্ধনে

অস্থিরতা চলছে দেশের তিনটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের রেশ না কাটতেই বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালটির শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। আর স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় চার দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতার জন্য বহিরাগতদের ইন্ধনের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষের উসকানি রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে উপাচার্যদের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহিংসতার পেছনে কোনো পক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতার পেছনে প্রশাসনের দুর্বলতা দায়ী। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখতে পারছেন না। করোনা পরিস্থিতির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে আছেন। এই ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে এটাও অন্যতম কারণ বলে আমি মনে করি।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বেসরকারিতে খরচ ১৪২ গুণ

দেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ালেখার খরচে আকাশপাতাল পার্থক্য। একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সময় একজন শিক্ষার্থীকে শুধু ভর্তি ফি হিসেবে এককালীন গড়ে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। কিন্তু একটি বেসরকারি কলেজে দিতে হবে ২১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভর্তি ফি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ও ইন্টার্নশিপ ফি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সে হিসাবে এ খরচ সরকারি মেডিকেলের চেয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ১৪২ গুণ বেশি। একইভাবে এ বছর একজন বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে টিউশন ফি দিতে হবে। এ জন্য তার পাঁচ বছরে খরচ হবে ৬ লাখ টাকা। অথচ সরকারি কলেজে এ ফি বছরে গড়ে ৭ হাজার টাকা করে পাঁচ বছরে মোট ৩৫ হাজার টাকা। সে হিসাবে এ ক্ষেত্রে একজন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীকে সব মিলে গড়ে পাঁচ বছরে ৫৪ গুণ বেশি টাকা গুনতে হবে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

মধ্যপাড়া খনিতে নতুন কূপ, পাথর উত্তোলন বাড়বে তিনগুণ

দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় দেশের একমাত্র পাথরের খনিতে বিদ্যমান কূপের চেয়ে আরও বেশি পাথর তোলা যাবে এমন কূপ খননের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে; যা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বাঁচাবে বড় অঙ্কের বিদেশি মুদ্রা। দীর্ঘ সময় ধরে লোকসানের পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুনাফায় ফেরা এ খনি নিয়ে যে কারণে নতুন করে আশাও তৈরি হয়েছে।বর্তমানে সেখান থেকে দৈনিক পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা যাচ্ছে। আরেকটি কূপ খনন করা গেলে দৈনিক উত্তোলনের পরিমাণ ১৬ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে এক দশমিক ২০ বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে পাথরের এ খনি। ১৭ কোটি ৪০ লাখ টন মজুদের এ খনি থেকে পাথর তোলা শুরু হয় ২০০৭ সালে। এ খনি থেকে মোট ৭ কোটি ৩০ লাখ টন পাথর উত্তোলনের সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: বিডি নিউজ

ঢাকায় ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত, ভেঙে ফেলা হবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
রাজধানী ঢাকায় নতুন ভবন করতে হলে এখন থেকে সাধারণ নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশাও জমা দিতে হবে রাজউককে। আর ভূমিকম্প সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজউককে সহায়তার জন্য নতুন একটি সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে। বুধবারের এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন সংস্থাটি হবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং এটি পরিচালিত হবে মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে।একই সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজউক দুটি টাস্কফোর্স গঠন করবে ঢাকার ভবনগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য। মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভবনগুলো পরিদর্শন করা হবে যার তত্ত্বাবধানে থাকবে ওই দুই টাস্কফোর্স।রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও মন্ত্রণালয় বা রাজউক আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।