আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৩

পাঠ্যবই কেন ছাপতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, কতটা বাস্তবসম্মত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা এনসিটিবি সময়মতো বই দিতে পারে না, মান নিয়েও আছে প্রশ্ন, আবার সমন্বয়হীনতাও আছে—এসব কারণ দেখিয়ে প্রাথমিকের পাঠ্যবই এনসিটিবির মাধ্যমে না ছাপিয়ে নিজেদের অধীন ছাপার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সভা করে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি দু-এক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায় আছে। কারণ, দরপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাজে দীর্ঘসূত্রতাসহ কিছু কারণে চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপতে দেরি হয়েছে। আর বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিতরণ ও বিপণনের দায়িত্ব এনসিটিবির। বিদ্যমান আইনানুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আলাদাভাবে বই ছাপতেও পারবে না। তাই এসব উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করলে সমস্যা যেমন বাড়বে, তেমনি শিক্ষাবিষয়ক কাজে সমন্বয়হীনতা আরও বাড়বে।বরং এসব কাজে গাফিলতি ও সমন্বয়হীনতা থাকলে সেটির ব্যক্তির দায়। সেখানে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সরিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ যেটি করতে চাচ্ছে, তাতে হয়তো ‘ভিন্ন উদ্দেশ্যে’ থাকতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, বরগুনা রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন স্থগিত

বরগুনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাসের সইয়ে এক অফিস আদেশে শনিবারের (১৮ মার্চ) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিকে নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, ‘যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।’ সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

পদ্মা ছাড়িয়ে ডালপালা মেলবে রেল
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ শেষ পর্যন্ত আরো ছয়টি রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রাথমিক ভাবনায় রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, যশোরের বেনাপোল, খুলনা, রাজশাহীর ট্রেনও এই পথে চালানোর চিন্তা আছে। সে ক্ষেত্রে ভারতে যাওয়ার মৈত্রী ট্রেনও এ পথ ব্যবহার করবে ভবিষ্যতে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ আগামী ২১ মার্চ শেষ হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ এক রেখায় যুক্ত হচ্ছে। রেলের নতুন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী আগস্টে এই পথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে। সেপ্টেম্বরে যাত্রী পরিবহন করা হবে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকল্পে কাজের গতি ভালো। মাওয়া-ভাঙ্গার তুলনায় ঢাকা-মাওয়া পিছিয়ে থাকলেও এখন এই অংশে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। সেতুতে আর ৩০০ মিটার রেললাইন বসানোর কাজ বাকি। কাজের গতি অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে ২১ মার্চ সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

নির্বাচনের আগে মার্কিন তেল-গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবে কি আবারো দ্বিধা

Nagad

আবারো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কোম্পানির বৃহৎ আকারে গ্যাস অনুসন্ধানের প্রস্তাব। জ্বালানি খাতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোম্পানি এক্সনমোবিল ১৫টি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলাকে। প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার পর এখন জ্বালানি বিভাগে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। জ্বালানি বিভাগ যাচাই শেষে তা পাঠাবে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মহলের কাছে। তবে নির্বাচনের আগে বিশ্বের বৃহৎ মার্কিন কোম্পানির এমন প্রস্তাব এরই মধ্যে দোদুল্যমানতায় ফেলেছে খাতটির নীতিনির্ধারকদের।২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন কোম্পানির চাপ ও রফতানির সিদ্ধান্ত না নেয়ায় ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে—এমনটাই অভিযোগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। আবারো একই ধরনের সন্ধিক্ষণ। তবে এ মুহূর্তে গ্যাসের তীব্র সংকট থাকায় রফতানির প্রসঙ্গটি অমূলক বলে দাবি করছে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট সূত্র। যদিও বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি বিবেচনায় বিশ্বের বৃহৎ মার্কিন কোম্পানিকে এত অধিকসংখ্যক ব্লক জরিপ ও অনুসন্ধানের কাজ দেয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ। এ প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এক্সনমোবিলের প্রস্তাব আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। তারা ১৫টি ব্লক চেয়েছে। আমরা সে প্রস্তাব খতিয়ে দেখে জ্বালানি বিভাগে প্রতিবেদন পাঠাব।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

ভোলার বেশি দামের গ্যাস কিনতে আগ্রহী নয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো
জ্বালানি চায় গাজীপুর ও ভালুকার শিল্পাঞ্চলগুলো। তাই সরকার প্রস্তাব করেছিল ভোলা থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। তবে সরকারের এ প্রস্তাবে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না শিল্পগুলো।পাইপলাইনের মাধ্যমে আনা এ গ্যাস কিছুটা স্বস্তি দেবে মনে করলেও, দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় শঙ্কিত কারখানা মালিকরা।বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে কম্প্রেসড বা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম ইউনিটপ্রতি (১ ঘনমিটার) ৪৩ টাকা। এর মধ্যে ফিড গ্যাসের মূল্য ৩৫ টাকা ও অপারেটিং মার্জিন ধরা হয় ৮ টাকা।কিন্তু কারিগরি কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংকোচন, পরিবহন এবং তারপর ডিপ্রেশারাইজেশনসহ বিভিন্ন চার্জের জন্য প্রতি ঘনমিটার ভোলার গ্যাসের দাম পড়বে প্রায় ৫১.১২ টাকা। কারখানা মালিকরা দীর্ঘমেয়াদি ফিক্সড চুক্তিতে না গিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দ্বীপটির গ্যাস কিনতে চান। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সরবরাহ করা গ্যাসের চাপ যখন কম অথবা একেবারেই থাকবে না, ওই সময়টুকুর জন্য ভোলার গ্যাস কিনতে চান তারা। কারখানা মালিকরা ইতিমধ্যে পৃথক আলোচনায় সিএনজিতে রূপান্তর করে ক্যাসকেড সিলিন্ডারের মাধ্যমে তিতাসের বিতরণ এলাকায় শিল্প গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে পেট্রোবাংলার কারিগরি কমিটিকে জানিয়েছেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ
পেশায় নিষেধাজ্ঞা, চালে জনপ্রতিনিধির নয়ছয়

দুই মাসের জন্য ১ মার্চ থেকে বরিশালের ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ জেলে পাননি সরকারি চাল। ফলে এসব জেলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিদিন নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা এসব জেলে পরিবারে চলছে হাহাকার। সংসারের ব্যয়ভার বহন ও ঋণের টাকা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। ইতিমধ্যে ওই ইউনিয়নের মৌসুমি জেলেদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ চাল বিতরণ করা হলেও প্রকৃত তালিকাভুক্ত কার্ডধারীরা সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আক্ষেপ করে বাবুল নামে এক জেলে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই সপ্তাহ থেকে বেকার বসে আছি। এর মধ্যে ঘরে যা ছিল, তা খাওয়া হয়ে গেছে, তিন দিন থেকে ঘরে চাউল নাই, সরকারি চাউলও পাচ্ছি না। তাই পোলাপান লইয়া এ্যাহন অনেকটা না খাওয়ার মতো বাইচ্ছা আছি।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ডলার সংকটে এলসি খোলা ব্যাহত
বাকিতে দুই লাখ কোটি টাকার পণ্য আমদানি

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাকিতে বা ঋণ করে পণ্য আমদানির প্রবণতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি ব্যবসায়ীদের বাজার ধরে রাখতে এবং উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে রপ্তানি করছেন বাকিতে বা ঋণ দিয়ে। মন্দায় আমদানিকারক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে দেড় বছর ধরে বাকিতে পণ্য আমদানির প্রবণতা বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতে বকেয়া অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৯৫৭ কোটি ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। গত এক বছরে এর মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়েছে।এসব ঋণ ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে পরিশোধের কথা থাকলেও মন্দায় সক্ষমতা কমায় তা পরিশোধের মেয়াদ ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর বিপরীতে ৬ থেকে ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। ফলে আমদানির খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে এর দায় এসে পড়ছে সরাসরি ভোক্তার ওপর। সূত্র জানায়, বাকিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অর্থায়ন বা ঋণ সুবিধা চালু রয়েছে। যার নাম বায়ার্স ক্রেডিট বা ক্রেতার ঋণ। বাকিতে পণ্য আমদানি করতে উদ্যোক্তারা এসব ঋণ দেওয়া-নেওয়া করেন। এই ঋণ নিতে হলে রপ্তানিকারকের কাছে আমদানিকারককে বিশ্বস্ত হতে হয়। সূত্র: যুগান্তর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান সপ্তম। শনিবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৫৭ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল। এ তালিকায় শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেশিসংখ্যক দিন অস্বাস্থ্যকর বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। এ ধারাবাহিতা রয়েছে চলতি মার্চেও। একিউআই স্কোরে শীর্ষে আছে ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ২২৭। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর, স্কোর ১৬৪। ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভারতের কলকাতা। পঞ্চমে কাজাখস্তানের আস্তানা, স্কোর ১৬১। ইকিউএয়ারের প্রকাশিত বৈশ্বিক বায়ুর মান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, ২০২২ সালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল বাংলাদেশে। সাত হাজার ৩২৩টি শহরের মধ্যে দূষিত বায়ুর জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৪৯তম। ওই বছর ঢাকার বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ২.৫ এর বার্ষিক গড় ছিল ৬৫.৮ মাইক্রোগ্রাম, যা অতি দূষিত ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। শুধু ঢাকা নয়, ওই বছরও বিশ্বের অতি দূষিত শহরগুলোর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় নগরীগুলোরই নাম এসেছে। সূত্র: সমকাল

দেশজুড়ে প্রতারণার জাল
নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো মানুষ, আশ্রয়দাতা রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের এপিএস
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আবদুল আলী ফকির গড়ে তুলেছেন একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির নামে নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাটসহ সাত জেলার ব্যবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলার খোঁজ পায় পুলিশ। এরা প্রতারণার কাজে বিভিন্ন সময় প্রায় অর্ধশত সিম ব্যবহার করেছে। র‌্যাব-৬ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চক্রের হোতা আবদুল আলী ফকিরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে প্রতারকদের ০১৮৯০-৩৬৮২১৯ ফোন নম্বরে কল দিলে কলার আইডিতে ভেসে ওঠে ‘বিকাশ প্রতারক’ এবং ০১৭৮২-৫১৬৮৪৮ ফোন নম্বরে কল করলে কলার আইডিতে দেখা যায় ‘বাটপাড় দালাল’ নামে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করা। দুটি নম্বর একই ব্যক্তির। এদের প্রতারণার ধরন একটু অন্যরকম। কেউ পত্রিকায় জমি বা মূল্যবান জিনিস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলে প্রথমে ক্রেতা সেজে ফোন দেয়। এরপর ওই জমি দেখানো যাবে কি না জানতে চায়। যদি বলা হয় কেয়ারটেকার আছে সে দেখাবে। তখন জমির মালিকের কাছে কেয়ারটেকারের ফোন নম্বর চায়। পরে ওই কেয়ারটেকারকে ফোন করে বলে জায়গাটা দেখার জন্য সে রওনা দিয়েছে, এখন রাস্তায়। চলতি পথে তার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। তার কাছে ক্রেডিট কার্ড আছে কিন্তু কোনো নগদ টাকা নেই। বিকাশে টাকা পাঠালে গাড়ি ঠিক করে এসে টাকা ফেরত দেবে। সরল বিশ্বাসে কেউ টাকা দেওয়ার পরই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। টাকা না পাঠালে শুরু করে উল্টো গালাগালি। এ ছাড়া আরও নানান কায়দায় প্রতারণা হয়েছে ওই দুটি ফোন নম্বর দিয়ে। গত এক বছরে সারা দেশে অন্তত ১৫১ জন প্রতারককে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ভারতের সাথে ডিজেল পাইপলাইন থেকে কতটা লাভ পাবে বাংলাদেশ

ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য তৈরি করা বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রী পাইপলাইন দিয়ে আমদানি করা ডিজেল দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ষোল জেলার চাহিদা পূরণ করার আশা করছে কর্তৃপক্ষ এবং এ জন্য খরচও আগের চেয়ে কমবে বলে দাবি করছে তারা।যে চুক্তির আওতায় এই পাইপলাইন তৈরি ও ডিজেল আমদানি করা হবে সেসব তাতে কি আছে তা বিস্তারিত প্রকাশ না করায় এ পাইপলাইন বাংলাদেশকে জ্বালানীর ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় ভারত নির্ভর করে তোলে কি-না তা নিয়েও উদ্বেগ আছে।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বা বিপিসি অবশ্য বলছে এতদিন যে পদ্ধতিতে ভারত থেকে ডিজেল আনা হচ্ছিলো সেটি আদর্শ ছিলো না বরং এখন নতুন পাইপলাইন হয়ে যাওয়ায় ‘তুলনামূলক কম খরচে’ এবং ‘রিয়েল টাইমে’ জ্বালানি পাওয়া যাবে। তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এজাজ হোসেন বলছেন এখানে শুধু তেল আনাটা সহজ হচ্ছে আর কোনো কিছুই বাংলাদেশ পাচ্ছে না।”এই পাইপলাইনে আনা জ্বালানি তো কম বা সাশ্রয়ী দামে পাবে না। আবার এখানে কোনা গ্যারান্টেড সাপ্লাইয়ের বিষয়ও নেই। যে পরিমান তেল আসবে তা খুব বড় কিছু নয়,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ অবশ্য বলেছেন নতুন পাইপলাইনের মাধ্যমে কম খরচে উত্তরাঞ্চলের ষোলো জেলায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

রোজার আগেই খেজুরের চড়া দামে কপালে ভাঁজ

পরিপাটি প্যাকেটে মোড়ানো খেজুরের বক্স হাতে নিয়ে দাম জানতে চাইলেন আনোয়ার, তবে বিক্রেতা যা বললেন, তাতে তার ভ্রু কুঁচকে গেল। কারওয়ানবাজারের কিচেন মার্কেটে খেজুর কিনতে এসেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আনোয়ার ইসলাম, উপলক্ষ সামনে রমজান মাস; তবে দাম শুনে অবাক হয়ে অন্য দোকানে চলে গেলেন তিনি।দাম শুনে কী মনে হচ্ছে? বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট্কমকে তিনি বললেন, “বছর ব্যবধানে তো দাম বেড়েছেই, তিন মাস আগেও যে দামে নিয়েছি, এখন তার চেয়েও বেশি।“প্যাকেট খেজুরের পুরো বক্স যেখানে ৯০০ টাকা ছিল, এখন সেটা প্রায় ১৪০০ টাকা।”রোজায় ইফতারির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হওয়ায় প্রতি বছর দেশের বাজারে আসে নানা রকম খেজুর। এসব খেজুর কিনতে গিয়ে নাম আর মান নিয়ে ধন্দের পাশাপাশি এবার দাম শুনেও কপালে ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের।সূত্র: বিডি নিউজ