ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২৩

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। সৌদি বাদশাহ সালমান নিজেই চিঠি পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাইসিকে এই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রোববার (২০ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। চীনের মধ্যস্ততায় বৈরিতা অবসান ও সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে দুই দেশ সম্মত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এ খবর এলো। বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইরানি কর্মকর্তারা।

সোমবার এক প্রতিবেদনে টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনীতি বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির কাছে একটি চিঠিতে সৌদি আরবের বাদশাহ দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাদশাহ সালমান প্রেসিডেন্টকে রিয়াদে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাইসি এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন।’ তবে এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি।

গেল ১০ মার্চ সৌদি আরব এবং ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দেয়। চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দুটি ৭ বছর পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে একটি চুক্তি করতে রাজি হয়।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হওয়ার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। সেই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে দু’দেশ পরস্পরের রাজধানীতে তাদের দূতাবাসও খুলবে। যা পশ্চিম এশিয়ার এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে নতুন আকার দিতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের শুরুতে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করে সৌদি আরব। মূলত, ওই বছর শিয়া সম্প্রদায়ের এক ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। এ ঘটনায় ইরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ইরান শিয়াপ্রধান দেশ হওয়ার সেখানকার অনেকেই ওই মৃত্যুদণ্ড মেনে নিতে পারেনি। ওই ঘটনার পর ইরান ও সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এ ছাড়া সিরিয়া এবং ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংঘাতে ইরান ও সৌদি আরব একে অপরের বিরোধী পক্ষ হয়ে কার্যত পরোক্ষ লড়াইয়ে নিয়োজিত রয়েছে।

Nagad