আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২৩

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে সাবেক সচিবের পাঁচ বই কেনার নির্দেশ

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নারে পাঁচটি বই কিনতে চিঠি পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সব বই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাবেক সচিব মুন্‌শী শাহাবুদ্দীন আহমেদের লেখা। বঙ্গবন্ধুর ১০০ ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর ৬-দফা বাঙালির মুক্তির সনদ, বঙ্গবন্ধুর বাজেট ১৯৭১-১৯৭৫, বঙ্গবন্ধুর উক্তি সংগ্রহ এবং মানবতার জননী শেখ হাসিনা—এই পাঁচটি বইয়ের মোট দাম ৩ হাজার ১৭৩ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি–বেসরকারি কলেজ এবং উচ্চবিদ্যালয়গুলোকে বইগুলো কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।দেশে ৬২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬২৫টি সরকারি কলেজ রয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত এই চিঠি সংগ্রহ করেছেন।পাঁচটি বইয়ের মধ্যে মানবতার জননী শেখ হাসিনা বইটি ৫৮টি প্রবন্ধ নিয়ে সম্পাদিত বই। একাধিক অসম্পূর্ণ বাক্যে লেখা বইয়ের ভূমিকায় প্রবন্ধ সংগ্রহের কোনো তথ্য উল্লেখ নেই। সূত্র: প্রথম আলো

বঙ্গবাজারের আগুন পুরোপুরি নিভেনি, চলছে ডাম্পিং

অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন হয়নি। বুধবার সকালেও বঙ্গবাজারে আগুনের ধ্বংসস্তুপে ও এনেক্সকো টাওয়ারের ৫ম তলা থেকে উপরের অংশে ডাম্পিং (পানি ছিটানো) করছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট সম্পূর্ণ নির্বাপনে কাজ করছে। যদিও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক গত মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর জানিয়েছিলেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, ভেতরে কাপড়ের গোডাউন (গুদাম) রয়েছে, ওখান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পানি ছিটানো হচ্ছে।বুধবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত বঙ্গবাজারে লাগা কোনো আগুনই পুরোপরি নির্বাপন হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট পুরোপুরি অগ্নিনির্বাপনে ডাম্পিং করছে। এখনো জানা যায়নি কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বিশেষজ্ঞ মত
অরক্ষিত মহানগরী করণীয় কী

নিয়মিত বিরতিতে ঘটা মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের মুখে ঢাকা যেন এক অরক্ষিত মহানগর। যতটা বিপর্যয় ঘটছে; বিপদের হুমকি তার চেয়েও বড়। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস– দুটি সদরদপ্তরের ঠিক মাঝে অবস্থিত বঙ্গবাজার বিপণিকেন্দ্র। সেখানকার প্রলয়ঙ্করী লেলিহান শিখা প্রশ্নটাকে জ্বলন্ত বিষয় করে তুলেছে। ‘ঘাতক’ পরিস্থিতিতে কাজ ও বসবাস : শহর ও শহরতলি মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ ‘ঘাতক’ পরিস্থিতিতে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন সরবরাহে নিরাপত্তা, কেমিক্যাল ও শিল্প নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। এগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা সংশ্লিষ্ট। আবাসন ও শিল্প-বাণিজ্যের অঞ্চল আলাদা করা নয় বলে ঢাকা মিশ্র মডেলে গড়ে উঠেছে। রাসায়নিক গুদামের পাশেই চলছে তৈরি পোশাকের কারখানা, বাজার, ব্যবসা ও আবাসনের সব কাজ। এ থেকে মুক্তি পেতে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং ফায়ার কোডের বাস্তবায়ন। দরকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থার নিরাপদ সমন্বিত মডেল। দুর্নীতিবান্ধব নকশায় ইমারত নির্মাণের মডেল এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের আগুন লাগলে সহজে নেভানো যায় না। নেভানোর পানি মেলে না; সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাব। সূত্র: সমকাল

Nagad

নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা
তদন্তে গোয়েন্দারা মাঠে

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুনটি আসলে নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা। এ নিয়ে সন্দেহ মার্কেটটির খোদ ব্যবসায়ী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। ইতোমধ্যে রহস্য বের করতে মাঠে গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এর আগে বঙ্গবাজারে বারবার আগুন লেগেছে। এবারও মার্কেট দখলের জন্য কেউ লাগিয়ে দিয়েছে কি না সন্দেহ। আগুনের কারণ খুঁজতে গতকাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একাধিক টিম এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। গতকাল বিকালেও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাশকতার কোনো ঘটনা থাকলে কমিটির তদন্তে বের হয়ে আসবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নেব।’ গতকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। বেলা ১১টায় ৫০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এর পরও আগুন বেপরোয়া। ৫০টি ইউনিটের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী ও নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে বাহিনীর হেলিকপ্টার ইউনিট ও জলকামান। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৯২টি। এসব ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। গত বছর আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। গত ১০ বছরে ক্ষতির পরিমাণ সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০১২ থেকে গত বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগুনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে ২০১২ সালে ২১০ জন, ২০১৩ সালে ১৬১ জন, ২০১৪ সালে ৭০ জন, ২০১৫ সালে ৬৮ জন, ২০১৬ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৪৫ জন, ২০১৮ সালে ১৩০ জন, ২০১৯ সালে ১২০ জন, ২০২০ সালে ১৫৩ জন, ২০২১ সালে ৬০ জন এবং গত বছর ১০৬ জন। এ সময়ের আহতের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, আগুন লাগার কারণ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, লিকেজ গ্যাস লাইন কিংবা দাহ্য পদার্থ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ইফতারি-সাহরি তৈরিতেও ভোগান্তি

গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় রমজান মাসে রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা ইফতার তৈরিসহ রান্নার কাজে ভোগান্তিতে পড়েছে। সারা দিন রোজা রেখে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের জন্য ইফতার তৈরি করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে অনেক গ্রাহক বাধ্য হয়ে ইলেকট্রিক চুলা বা এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছে। এতে গ্যাস না থাকলেও একদিকে গ্রাহককে যেমন পুরো মাসের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ইলেকট্রিক চুলা কিংবা এলপিজি ব্যবহারে করতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, রমজানে আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা সীমিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প-কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহ করায় আবাসিকের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ দেখা দিয়েছে। বাড়িতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া এবার রোজায় এক দিনও গ্যাসের চুলায় ইফতার বানাতে পারেননি রাজধানীর ভাটারার সোলমাইদ এলাকার বাসিন্দা ফারজানা আক্তার। বাধ্য হয়ে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে তাঁকে। এতে তাঁর জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। ফারজানা আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবার রোজায় এই এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। বাধ্য হয়ে আমাকে এলপিজি ব্যবহার করতে হচ্ছে। আর লাইনে গ্যাস না থাকলেও বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
লেলিহান শিখায় স্বপ্ন পুড়ে নিঃশেষ
ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে * পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে ছাই * আট ফায়ারকর্মীসহ আহত অন্তত ৪০ জন * ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা * সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আগুনে পুড়ে গেছে চারটি মার্কেট নিয়ে তৈরি বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্স। কাঠ ও টিনের তৈরি তিনতলা এই মার্কেটে ছিল প্রায় ৫ হাজার দোকান, গোডাউন ও কারখানা। কমবেশি পুড়েছে আশপাশের আরও পাঁচটি মার্কেটের কয়েকশ দোকান। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যারাকও। একে একে রাজধানীর প্রায় সবগুলো ফায়ার স্টেশনের দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে যুক্ত হয় অগ্নিনির্বাপণে। ধাপে ধাপে যোগ দিয়েছে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের দমকলকর্মীরাও। সবমিলে অর্ধশতাধিক ইউনিট আগুন নেভাতে নিরন্তর চেষ্টা চালায়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। এ অবস্থায় যোগ দেন সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। ব্যবহার করা হয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। তাদের প্রাণান্তকর ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। ঈদ উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত মালামাল তুলে দোকান সাজিয়ে বসেছিলেন এসব ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ধারণা, সব মিলিয়ে এ আগুনে হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের স্বপ্ন পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ৫০ হাজার কর্মীর পরিবার। এই বিপুলসংখ্যক কর্মীর কাজ হারানোর শঙ্কা আছে। মঙ্গলবার ভোরের এই আগুন মধ্যরাত পর্যন্ত জ্বলছিল। সূত্র: যুগান্তর

হাজার কোটির ক্ষতির আশঙ্কা

ঈদ সামনে রেখে ভালো ব্যবসার আশায় দোকানে বেশি পরিমাণে মালামাল তুলেছিলেন রাজধানীর বঙ্গবাজার ও আশপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সর্বনাশা আগুন অন্তত সাতটি মার্কেটের হাজার হাজার ব্যবসায়ীর আশা চুরমার করে দিয়েছে। এসব মার্কেটের অন্তত আট হাজার দোকানের মাল পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া না গেলেও ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, অন্তত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সোমবার রাতে বেচাকেনা করে যে যার মতো বাসাবাড়িতে চলে যান। ভোরেই আগুন লাগার খবর পেয়ে সবাই ছুটে আসেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার কারণে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি কেউ। সাতটি মার্কেটেই আগুনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মার্কেটেই ছোট ছোট দোকান। শুধু একটি মার্কেটেই দোকান পুড়েছে তিন হাজারের ওপরে।বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আগুনে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।এনেক্সকো টাওয়ারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করেন মোজাম্মেল হক মঞ্জু। এই মার্কেটটি সাততলা। প্রায় প্রতিটি ফ্লোরেই তার দোকান রয়েছে। সব মিলিয়ে তার দোকান আছে ৯৭টি। সবকটি দোকানের মাল পুড়ে গেছে। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগুনে একেবারে সব শেষ হয়ে গেছে। অন্তত ৩ কোটি টাকার সম্পদ শেষ। কয়েকটি ব্যাংকে ঋণ আছে। এমনকি ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকেও মোটা অঙ্কের ঋণ নিতে হয়েছে। এখন কীভাবে পরিশোধ করব ঋণ।’ এসব কথা বলে তিনি শিশুর মতো কাঁদতে থাকেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছেন বহু ব্যবসায়ী

চাকরি থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের সব টাকা বিনিয়োগ করে বঙ্গবাজারে দোকান দিয়েছেন মনজুর হোসেন, আগুনে পুড়ে তাঁর দুইটা দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলছিলেন জীবনের শেষ সম্বলটুকু ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন যাতে স্বচ্ছলভাবে চলতে পারেন, এখন সহায় সম্বল দুটোই হারিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে চোখের সামনে পুড়তে দেখেছেন নিজের দুইটি দোকান, কিন্তু তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না মোহাম্মদ মাসুদের। প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ ছিলো তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে গেলেন তিনিও।ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে এমন অনেক ব্যবসায়ী একেবারে পথে বসে গেছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে প্রায় সব ব্যবসায়ীই ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। আর দশ দিন পরেই তাদের সেই বিনিয়োগ উঠে আসার কথা ছিলো, কিন্তু ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন দিশেহারা এসব ব্যবসায়ীরা। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড
আগুন না থাকলেও এখনো বেরোচ্ছে ধোঁয়া, উৎসুক জনতার ভিড়

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ধোঁয়া নিবারণে পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডের দ্বিতীয় দিনেও উৎসুক জনতার ভিড়ে ব্যতিব্যস্ত বঙ্গবাজার এলাকা। আলোচনায় বারবার ঘুরে ফিরে আসছে অগ্নিকাণ্ডের কথা।বুধবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে বঙ্গবাজারে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া অবশিষ্ট অংশগুলো থেকে এখনো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণ নিবারণের লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে।এছাড়া ধ্বংসস্তূপ দেখতে বঙ্গবাজার এলাকায় সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পরিচিত জন। তাদের আলোচনায় অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার কথা উঠে আসছে। যদিও আজ (বুধবার) উৎসুক জনতাকে আটকাতে কোনো বাধা রাখেনি পুলিশ। তবে বঙ্গবাজারের উল্টো দিকের ফায়ার সার্ভিস হেড স্টেশনের সামনের রাস্তার দুই পাশে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। এছাড়া রয়েছে পুলিশি পাহারা। সেখানে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এখানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

আগুনের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি
রওশন এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদ

প্রতিটি আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মো. মামুন হাসানের পাঠানো-বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেশে কিছুদিন পরপর ভয়াবহ আগুন লাগে। ছোটখাটো আগুনের ঘটনা তো আছেই। সাম্প্রতিক সময়ে মগবাজারে আগুন, রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন, নারায়ণগঞ্জে পোশাকশিল্পে আগুন, নীলক্ষেতে আগুন, কড়াইল বস্তি, আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনা আমাদের অসতর্কতা, অসাবধানতা, অব্যবস্থাপনা, অসচেতনতা ও দায়িত্বে অবহেলার চিত্র সামনে এনেছে। এসব ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে অবহেলার প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সূত্র; দৈনিক আমাদের সময়