প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার গুরুতর অসুস্থ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৩

গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন। তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সমরেশ মজুমদারের বড় মেয়ে দোয়েল মজুমদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, শ্বাসনালিতে গভীর সংক্রমণ রয়েছে সমরেশ মজুমদারের। গত এক যুগ ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) সমস্যা রয়েছে তার।

দোয়েল মজুমদার জানান, শনিবার বিকেলে বাবাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউতে) নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, শ্বাসনালিতে গভীর সংক্রমণ রয়েছে সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখেন। তার চেস্ট এক্স-রে ও সিটি স্ক্যানসহ একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।

দুই বাংলায় জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। তার বয়স এখন ৭৯। তার অসুস্থতার খবরে পাঠক ও ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত তার আরোগ্য কামনা করেছেন।

Nagad

উল্লেখ্য, সমরেশ মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১০ মার্চ। তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় জলপাইগুড়ি জিলা স্কুল থেকে। তিনি কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তিনি তার লেখনী শুধু গল্প বা উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি থেকে গোয়েন্দাকাহিনি, কিশোর উপন্যাস লেখনীতে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তার প্রত্যেকটি উপন্যাসের বিষয় ভিন্ন, রচনার গতি এবং গল্প বলার ভঙ্গি পাঠকদের আন্দলিত করে। চা-বাগানের মদেসিয়া সমাজ থেকে কলকাতার নিম্নবিত্ত মানুষেররা তার কলমে উঠে আসেন রক্ত-মাংস নিয়ে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার ট্রিলজি ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’ বাংলা সাহিত্য জগতে তাকে বিশেষ খ্যাতি কুড়িয়েছে।