ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। এ কারণে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৩মে) বিকেলে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম সিকদার বলেছেন, ‘কক্সবাজারে দুর্যোগপূর্ণ সময়ের কথা বিবেচনা করে আমরা ৬৮টি হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এতে করে অন্তত ১৫ হাজর মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।’

এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে বাঁচতে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেহেতু কক্সবাজারমুখী, সেহেতু কক্সবাজারসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপ একটু ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্যই সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। একই সাথে সেন্টমার্টনে ভিন জেলার লোকজনকে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার সংকেত ১০ নং বাড়ার সাথে সাথে জেলার উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

Nagad

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিকেল টিম। দেড়শ’ মেট্রিক টন চাল, ৬.৯ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুদ করা হয়েছে। একই সাথে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হোটেল মোটেলগুলো হলো:

সাফিয়া রিসোর্ট, ডায়মন্ড প্যালেস গেস্ট হাউস, অ্যালবার্ট্রস রিসোর্ট, সি-সান রিসোর্ট, গ্যালাক্সি রিসোর্ট, হোটেল সি পার্ক, মোহাম্মদিয়া গেস্ট হাউস, সি-পয়েন্ট রিসেটি, সি আরাফাত রিসেটি, মাসকট হলিডে রিসোর্ট, আমারি রিসোর্ট, কোয়ালিটি হোম, ওয়েল পার্ক রিসোর্ট, লেমিচ রিসোর্ট, জিয়া গেস্ট ইন, জিয়া গেস্ট হাউস, কক্স ইন, সি ল্যান্ড গেস্ট হাউস, লাইট হাউস ফ্যামেরি রিট্রিট, হক গেস্ট ইন, হানিমুন রিসোর্ট, হোটেল কোস্টাল পিস, শামীম গেস্ট হাউস, সি-কক্স রিসেটি, হোটেল সি আলিফ, বিজ হলিডে গেস্ট হাউস, কক্স হিটলন লিমিটেডের এ আর গেস্ট হাউস, ব্লু-ওশান গেস্ট হাউস, সিলিকন শাকিরা বে রিসোর্ট, হোটেল এবি গার্ডেন, সোহাগ গেস্ট হাউস, পারসেম ইন সাইট, হোটেল কোরাল রিফ, আলম গেস্ট হাউস, কক্স ভিউ রিসোর্ট, ক্যাসেল বেটাস, হোটেল বে মেরিনা, হোটেল অস্টার ইকো,উর্মি গেস্ট হাউস, ইউনি রিসোর্ট, হোটেল ওশান ভ্যালি, রিসোর্ট বিচ ভিউ, সি-নাইট রিসোর্ট, বে-ভিউ গেস্ট হাউস, হোটেল প্রাইম পার্ক, রিগ্যাল প্যালেস, ডায়নামিক এস এইচ রিসোর্ট, আর এম গেস্ট হাউস, গ্রান্ড বিচ রিসোর্ট, ওলেপিয়া বিচ রিসোর্ট, সি-কিং, গোল্ডেনহিল, স্বপ্নালয় অ্যাপার্টমেন্ট, সি ওয়েলকাম ইত্যাদি।