আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৩

‘আমার হাত-পা কাইট্টা দেন, তবু আর মাইরেন না’

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় চোর সন্দেহে দুই কিশোরকে পিটুনির ঘটনায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য কিশোর। তাদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, জানতে গতকাল রোববার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে বেঁচে ফেরা কিশোরের সঙ্গে কথা হয়।হতাহত দুই কিশোর সমবয়সী। দুজনের বয়স ১৬। দুজন একই এলাকার বাসিন্দা। তারা সব সময় একসঙ্গে চলাফেরা করত।বেঁচে ফেরা কিশোরের ভাষ্য, গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা উপজেলার একটি টেক্সটাইল মিলের পেছনে খোলা জায়গায় যায়। সেখানে তারা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর রাত দুইটার দিকে পাশের এলাকার এরশাদ মিয়া ওরফে খুকুর নেতৃত্বে ছয় থেকে সাতজন লোক সেখানে যান। তাঁরা ‘এত রাতে এখানে কী করিস’ বলেই দুজনকে ধরেন। এ সময় পরিচয় দিয়ে দুজন বলে, ‘এমনি এসেছি।’ পরে এরশাদের নির্দেশে তাঁর বাড়ি থেকে একটি দা এনে কাঠের অংশ দিয়ে তাদের একটার পর একটা আঘাত করা হয়। এরপর সবাই মিলে দুজনকে যে যার মতো চড়-ঘুষিসহ উপর্যুপরি মারতে শুরু করেন। লোকজন লোহা চুরি করতে সেখানে গিয়েছি, এটা স্বীকার করে নেওয়ার জন্য মারধর করেন বলে জানায় ভুক্তভোগী কিশোর। সে বলে, ‘ “যতক্ষণ চুরির কথা স্বীকার না করবি, ততক্ষণ মারব” এ কথা বলেই তাঁরা টেক্সটাইল মিলের একটি পিলারে দুজনকে বেঁধে মারতে থাকেন। একসময় মিলের এক প্রহরী এগিয়ে এসে “এভাবে মারলে তো মরে যাবে” বলে আমাদের ছেড়ে দিতে বলেন। এভাবে এক ঘণ্টা নির্যাতনের পর রাত তিনটার দিকে এরশাদ ও তাঁর লোকজন তাদের টেনেহিঁচড়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান।’ সূত্র: প্রথম আলো

মোখায় বড় ক্ষয়ক্ষতি নেই
► সেন্ট মার্টিনে ১২০০ ও টেকনাফ, উখিয়ায় ১২০০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ► সেন্ট মার্টিন : দুপুর ২.২০টায় ঝড়ের গতি ছিল ১৪৭ কিমি ► টেকনাফ : দুপুর ১.৫০টায় ঝড়ের গতি ছিল ১১৫ কিমি

বাতাস ছিল সাগরমুখী। সাগরে ছিল ভাটার টান। সময়টা ছিল অমাবস্যার বেশ কদিন আগে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ও ডান পাশ গেছে মিয়ানমারের ওপর দিয়ে। অপেক্ষাকৃত কম শক্তির বাঁ পাশের অংশ গেয়েছে মূলত সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফের ওপর দিয়ে। ফলে আশঙ্কা থাকলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারেনি অতি আলোচিত ঘূর্ণিঝড় মোখা। ভাটা আর বাতাসের দিক ও গতির কারণে জলোচ্ছ্বাস হয়নি সেন্ট মার্টিনে। তবে কাঁচা ঘর আর গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মূল ভূভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বঙ্গোপসাগরের এই প্রবাল দ্বীপে ঝড় শুরু হয় গতকাল রবিবার সকালের পর থেকে। ঝড়ের প্রভাব দেশের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ছিল বেশি।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিনে দুুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ১৪৭ কািলোমিটার। দুুপুর ১টায় সেখানে বাতাসের বেগ ছিল ৯৮ কিলোমিটার। আর টেকনাফে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ১১৫ কিলোমিটার। ঝূর্ণিঝড়ের ভূমিতে উঠে আসার সময়ে ছিল এটি। এর বাইরে উপকূলের ১২ জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হলেও সে সব জেলায় মোখার তেমন প্রভাব পড়েনি। মূলত দেশের একটি উপজেলার ওপর দিয়েই বয়ে গেছে ঝড়টির মূল অংশ। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

চোখ রাঙিয়ে চলে গেল মোখা
আশঙ্কার চেয়ে ক্ষয়ক্ষতি কম লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিন, আহত ১১ কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার ঘরবাড়ি মহেশখালীতে ঠান্ডায় ৩ লবণচাষির মৃত্যু উপকূল অতিক্রম করে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে বৃষ্টি

যতটা তীব্রগতিতে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তার চেয়ে কম গতিতে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। অতি প্রবল এ ঝড়ের ঝাপটা বাংলাদেশ অংশে মূলত গেছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের ওপর দিয়ে।ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। টানা প্রায় চার ঘণ্টার ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিতে দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি, হোটেল ও রিসোর্ট। তীব্র বাতাসে গাছ উপড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে গোটা উপকূলীয় অঞ্চল। গতকাল রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালীতে লবণের মাঠে বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার সময় ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলবর্তী কক্সবাজার জেলার আট উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের প্রভাবের শিকার হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ। গতকাল সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করে কক্সবাজার জেলা শহর, টেকনাফ উপজেলা ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং অন্যান্য উপজেলায়। দুপুরের দিকে বৃষ্টি ও বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে। বিকেল ৪টার পর উপকূলসংলগ্ন এলাকায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। টানা এক ঘণ্টার বেশি প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির পর আবহাওয়া ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে। জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে প্রচুর। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

Nagad

ঝড়ের তান্ডব সেন্টমার্টিনে
আশঙ্কার চেয়ে ক্ষতি কম ♦ ১২ হাজার ঘর বিধ্বস্ত ♦ ক্ষতি কক্সবাজার-চট্টগ্রামেও

ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সেন্টমার্টিন। বঙ্গোপসাগরের বক্ষে থাকা এই প্রবাল দ্বীপের গাছপালা ও বাড়িঘরের বেশ ক্ষতি হয়েছে; উড়ে গেছে ঘরবাড়ির চালা, উপড়ে গেছে গাছগাছালি। গাছচাপায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উপকূলীয় কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে পড়েছে। সেন্টামার্টিন ছাড়াও কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার ঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এ ক্ষতি আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। এদিকে ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আবহাওয়া বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মোখার প্রভাবে আজ সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনের মতো টেকনাফের বাহারছড়া, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে গাছপালা উপড়ে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিনে ১২ শ’র মতো ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। অনেক সড়কে চলাচল বন্ধ হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের মতো বড় প্রভাব পড়েনি কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, বেলা আড়াইটায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৪৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ছিল। মোখার প্রভাবে টেকনাফেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে। দুপুরের দিকে বৃষ্টি ও বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে। বিকাল ৪টার পর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। টানা এক ঘণ্টার বেশি প্রচ- বাতাস ও বৃষ্টির পর আবহাওয়া ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম করেছে মোখা। ঘূর্ণিঝড় মোখা পরিণত হয়েছে স্থল নিম্নচাপে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ইবিতে শ্রেণিকক্ষ সংকট: পাঠদান-পরীক্ষা ব্যহত, সেশনজটের শঙ্কা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাতটি বিভাগে নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ। এর মধ্যে তিনটি বিভাগে নিজস্ব কোনো কক্ষই নেই। এর ফলে নিয়মিত পাঠদান ও পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ায় সেশনজটে পড়ে ভোগান্তি নিয়ে শিক্ষাজীবন পার করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, নতুন ভবনের কাজ শেষ হলে শ্রেণিকক্ষের এই সংকট কমে যাবে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ফোকলোর স্টাডিজ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, সমাজকল্যাণ, চারুকলা, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান— এই সাতটি বিভাগে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র একটি কিংবা দুটি। এর মধ্যে তিনটি বিভাগের আবার কোনো স্থায়ী শ্রেণিকক্ষ নেই। এসব বিভাগের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠার ছয় বছর; ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও সমাজকল্যাণ বিভাগ পাঁচ বছর; চারুকলা বিভাগ তিন বছর এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ দুই বছর পূর্ণ করেছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ইউএন-এসকাপের প্রতিবেদন
অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা, স্কুলভ্যান, ইজিবাইক, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে। জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন (ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘সাব-রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন-এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান, এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ‘ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট’ চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের ‘মোড শেয়ার’ ৫৮ শতাংশ। সূত্র: বণিক বার্তা।

ঘরের ভিতর সমুদ্র গড়ায় দক্ষ তিনি, শখ থেকে এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী

বিখ্যাত অ্যানিমেশন মুভি ‘ফাইন্ডিং নিমো’তে নামভূমিকায় যে মাছটি ছিল তার নাম ক্লাউন ফিশ। ডরি নামের আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে ছিল ব্লু ট্যাং নামের মাছ। সমুদ্রের যে মাছগুলো অ্যাকুরিয়ামে বসবাস করতে পারে সেগুলোর মধ্যে আরো আছে লিপস্টিক ট্যাং, পার্পল ট্যাং, ইয়েলো ট্যাং, ফক্সফেস, গ্রুপার প্যানথার, লায়ন, অ্যাঞ্জেল ফিশ, হক ফিশ, টেট্রা, স্টার ফিশ, ফায়ার ফিশ, সিক্স লাইন র‌্যাস ইত্যাদি। এগুলোর নামকরণ হয়েছে মূলত রং ও গড়ন ধরে। যেমন অ্যাঞ্জেল ফিশ বড় এবং বামন দুই রকমেরই আছে। লিপস্টিক ট্যাংয়ের ঠোঁট পুরু হয় এবং আলাদা একটি রং থাকে। ফক্সফেসের মুখটা শিয়ালের মতো হয় দেখতে। স্বাদুপানির বা ফ্রেশ ওয়াটার ট্যাংক ফিশ যেমন জোড়ায় জোড়ায় বিক্রি হয়, সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয় পিস হিসাবে। ৫০০ টাকার কমে সামুদ্রিক মাছ পাওয়া ভার। অনেকগুলোর দাম কয়েক হাজার টাকা হয়। যেমন লায়ন ফিশের দাম ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। বেশিরভাগ মাছই ৩-৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের হয়। কোনোটি ১০-১১ ইঞ্চিও হয়। মেরিন অ্যাকুয়ারিয়াম ফিশের কিছু আছে মাংসভোজী, কিছু হয় নিরামিষভোজী। যেগুলো নিরামিষভোজী সেগুলোকে আমিষ খাওয়ালে ঘণ্টা দুই-তিন পরে মারা যেতে পারে। এরা শ্যাওলা বা শৈবাল খায়। মাংসভোজীগুলোকে সাধারণত চিংড়ি খাওয়ানো হয়। একটা চিংড়ি খেয়েই এরা সপ্তাহ পার করতে পারে। গুটিকয় মেরিন ট্যাংক ফিশের কৃত্রিম প্রজনন সফল হয়েছে, যেমন কমন ক্লাউনফিশ, নিয়ন গোবি, ইয়েলো ডেভিলফিশ ইত্যাদি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
দ্রুতই স্বাভাবিক হচ্ছে না বিদ্যুৎ গ্যাস পরিস্থিতি

খুব সহসাই স্বাভাবিক হচ্ছে না বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি। দেশব্যাপী বিদ্যুতের লোডশেডিং আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা আছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গ্যাস উৎপাদনেও বড় ধরনের ধস নেমেছে। গ্যাস সংকটে কমপক্ষে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। অন্য এলাকাগুলোতেও ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্যাস সংকটে চুলা জ্বলছে না। হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন অনেকেই। সিএনজি সংকটে সড়কে গণপরিবহণের সংখ্যা কম। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, মহেশখালীর ভাসমান টার্মিনাল দুটির মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা আছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টার্মিনাল দুটি বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে একটি টার্মিনালের পাইপলাইন ছিঁড়ে গেছে। সেটি মেরামত করতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। বিভাগটির হিসাব অনুযায়ী দেশে মোট বিদ্যুতের অর্ধেক উৎপাদন করা হয় গ্যাস দিয়ে। বর্তমানে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে উৎপাদন নেমে এসেছে ৯ হাজার মেগাওয়াটে। অর্থাৎ ঘাটতি কমবেশি সাড়ে ৭ হাজার মেগাওয়াট। রাজধানী ঢাকাতেই রোববার বেশিরভাগ এলাকায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়েছে। শিল্পকারখানা, বাসাবাড়ি এবং সিএনজি স্টেশনে নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সিএনজি স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। চাপ কম থাকায় গ্যাস নিতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়েকটির উৎপাদন কমানোও হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখায় প্রাণহানি নেই, তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি ভয়াবহ

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ থেকে চলে গিয়েছে। মহাবিপদ সংকেতও আর নেই। কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। শুধু সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।কিন্তু ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ আর শাহ পরীর দ্বীপের মানুষেরা।বিশেষ করে গরীব ও নিম্নবিত্তদের কাঁচা ঘরবাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। সবমিলিয়ে ঝড়ের প্রভাবের শিকার হয়েছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার মানুষ।অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা যেখানে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, সেই রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিতওয়ে শহরে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধী এনইউজে সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ে ইরাবতী এবং মান্দালায়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয় বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইমরান। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয় সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফ ঘিরে। সেন্ট মার্টিনে ঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এসএসসি: মোখায় স্থগিত পরীক্ষাগুলো হবে ২৩ মের পর

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো ২৩ মের পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।সোমবার ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী সম্ভাব্য এই সময় জানিয়েছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সব বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারিখ জানিয়ে দেব। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে সব বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা সূচি অনুযায়ীই চলবে।” সূত্র: বিডি নিউজ