এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ হাজার ৫০০ টন চিনি কিনছে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কিনবে সরকার। প্রতি কেজি ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা দরে এই চিনির দাম পড়ছে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আওতায় এ পরিমান চিনি কেনার প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।

আজ বুধবার (১৭মে) সরকারি ক্রয় কমিটির সভায় চিনি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, টিসিবির জন্য ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকায় ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকরপোরেশন (যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি) থেকে স্থানীয় এজেন্ট ওএমজি লিমিটেডের মাধ্যমে এ চিনি কেনা হবে।

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ মে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এখন আবার ওই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি, তাদের ওপর স্যাংশন। আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনব না।’

আজ সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের কাছে জানতে চান, মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে চিনি কেনার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার লঙ্ঘন কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি মন্তব্য করার এখতিয়ার রাখি না। কী পাস হলো, আমি শুধু সেটা জানালাম।’

সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘না, এ বিষয়ে আজ কোনো আলোচনা হয়নি।’

Nagad

এর আগে গত ৯ মে সিঙ্গাপুর থেকেও ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রয় কমিটি। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা।

বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, যে দেশ বাংলাদেশের বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওই দেশ থেকে কোনো পণ্য না কিনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, এরপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি কেনার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশার লঙ্ঘন হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমি রাখি না।’