‘বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তা ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে, না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না।

আজ রোববার (২১মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগপা।

তিনি বলেন, এই সরকার যখন আন্দোলন দেখে, তখন তা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। একদিকে শাসকগোষ্ঠী, অন্যদিকে জনগণ। দেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে সরকার। তারা অন্যায়ভাব র‌্যাব, পুলিশ ও দলীয় গুন্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়।

আওয়ামী লীগকে ওয়াদা ভঙ্গকারী দল আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে। বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অবশ্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না।

দেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শফিউল আলম প্রধান একটি সাম্য ও মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু আজও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এই সরকার দিচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছি। তারা অন্যায়ভাবে র্যা ব, পুলিশ ও দলীয় গুণ্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়।

Nagad

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে থাকতে পারেনি। মওলানা ভাসানীকে তারা বের করে দিয়েছে। আ স ম আব্দুর রব, প্রয়াত শাহজাহান সিরাজ, প্রয়াত ওবায়দুর রহমান, প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেম,প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান, মাহমুদুর রহমান মান্না সবাই বেরিয়ে গেছেন। কারণ, ওই সময় তারা দুর্নীতিপরায়ণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এখনকার আওয়ামী লীগ আরও বেশি খারাপ। তাদের বডি কেমিস্ট্রি হলো কাউকে সহ্য করতে পারে না। দুর্নীতি, চুরি তাদের বৈশিষ্ট্য।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।