‘শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে পিছিয়ে পড়বো’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষকরাই হচ্ছেন শিক্ষার মেরুদণ্ড। শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা পিছিয়ে পড়বো। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সুযোগ্য নাগরিকের পাশাপাশি স্মার্ট সিটিজেন হয়ে ওঠার ধারণা দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (১জুন) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্পের আওতায় ল্যাপ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে প্রযুক্তি খাতে কোটি কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে যা ঘরে বসেই করা যায়। প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে শেখ রাসেল ডিজিটাল ও স্কুল অব ফিউচার, জয় ডি-সেট সেন্টার, ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। এসকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে আজকের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে আইসিটি শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রতিটি স্কুলেই আরো তিনজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইন্টারনেটের শক্তি ও তারুণ্যের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আইসিটি বিভাগের লার্নিং আর্নিং প্রকল্পের আওতায় করোনার সময়ে প্রায় ৪৩ হাজার প্রশিক্ষণ দিয়েছি। লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। শি-পাওয়ার প্রকল্পে ১০ হাজার ৫০০ নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।

পলক বলেন ,আগামীতে বাংলাদেশের সবগুলো স্কুলকেই পেপারলেস করতে ৩২ ধরণের বিশেষ সফটওয়্যার দেয়া হবে। গড়ে তোলা হবে আরো ১ হাজার স্মার্ট স্কুল। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ১০ লাখ প্রোগ্রামার এবং ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরাও ফ্রিল্যান্সিং করে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পাবে। ফলে দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প পরিচালক এস এ এম রফিকুন্নবী। এছাড়া আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলাপ্রশাসক, ইউএনও ও বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

Nagad

পরে প্রতিমন্ত্রী দেশের ৯০০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ৩৬০০০ শিক্ষকদের ১৫ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।