২৫ জুন ফের উৎপাদনে যাচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে নোঙর করেছে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আথেনা। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২৯৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এসেছে। এর ফলে, আগামী রোববার থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।
কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দেশের সবচেয়ে বড় এই পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে বন্ধের ২০ দিন পর আবার চালু হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।


পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে জাহাজটি ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরের ইনার চ্যানেলে অবস্থান করছে। এ কয়লা খালাস করতে আরও ২-৩ দিনের মতো সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুন পুনরায় চালু হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে প্রথমে একটি ইউনিট চালানো হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে।
সূত্র জানায়, মজুত পুরোপুরি শূন্য হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর পাশাপাশি কয়লা মজুত করা হবে। প্রথম চালানের কয়লা দিয়ে আপাতত একটি ইউনিটে দৈনিক ৫২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২ জুলাই কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে জাতীয় গ্রিডে মোট ৭৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসি) পটুয়াখালীর পায়রায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। কেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে।
উল্লেখ্য, ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় গত ২৫ মে বি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৫ জুন দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। তখন সরকারের পক্ষে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ফের উৎপাদনে যাবে।